আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩য় বারের মতো কুষ্টিয়ার শ্রীকৃঞ্চ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের উদ্যোগে ১০০টি পরিবারের মাঝে খাদ্র সামগ্রী বিতরণ


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ১২:০৭ অপরাহ্ণ ,৬ মে, ২০২০ | আপডেট: ১০:১১ অপরাহ্ণ ,৬ মে, ২০২০
৩য় বারের মতো কুষ্টিয়ার শ্রীকৃঞ্চ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের উদ্যোগে ১০০টি পরিবারের মাঝে খাদ্র সামগ্রী বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার।। করোনা দূর্যোগে লকডাউনে আটকে পড়া কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার একতারপুর গ্রামের কর্মহীন অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ধারাবাহিক ভাবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে কুষ্টিয়ার শ্রীকৃষ্ণ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সদস্যরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে শ্রীকৃষ্ণ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের নিজস্ব অর্থায়নে এবার দিয়ে তৃতীয় বারের মত ৬ মে-২০২০ বুধবার সকাল সারে ৭.টার সময় তৃতীয় বারের মত ১০০ মানুষের বাড়ী বাড়ী গিয়ে পৌছে দিয়েছে খাদ্য সহায়তা। পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে ৪০ টি পরিবারের আর করোনা দূর্যোগ উপলক্ষ্যে ৬০টি পরিবারের মধ্যে এ খাদ্য সমাগ্রী বিতরণ করলো সংগঠনটি।

বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- চাউল, ডাউল, আলু, আটা, ছোলা, তেল ও চিনি।এ খাদ্য সামগ্রী বিতরন অনুষ্ঠানে নিরাপদ বিশ্বাস, শুশান্ত কুমার ঘোষসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্র্গ ও সংগঠনটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ৫ /৪/২০২০ খ্রিঃ তারিখে প্রথম পর্যায়ে একতারপুর গ্রামের ২০টি কর্মহীন দরিদ্র পরিবারের মধ্যে এরপর গত ২০/৪/২০২০ তারিখে ২য় পর্যায়ে ৪০ টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছিল। আর, ৩য় পর্যায়ে আজকে ৬/৫/২০২০ তারিখে ১০০ টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করলো কুষ্টিয়ার শ্রীকৃষ্ণ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সদস্যরা।

শুধু করোনা ভাইরাসই নয়, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় শ্রীকৃষ্ণ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সদস্যরা সার্বক্ষনিক গ্রামবাসীর পাশে রয়েছে।

শ্রীকৃঞ্চ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি ও পুলিশের এসআই হিরণ কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে- সংগঠনটির সদস্যরা একতারাপুর গ্রামের মানুষের মাঝে সচেতনামূলক হ্যান্ডবিল, ভাইরাসরোধক মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজারও বিতরণ করেছেন। সেই সাথে করোনাভাইরাস নিধনের জন্য একতারপুর গ্রামের মোড়ে মোড়ে হ্যান্ড ওয়াস কর্নার বসিয়েছে ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ও রাস্তা-ঘাটে ব্লিসিং পাউডার মেশানো পানি দফায় দফায় স্প্রে করে চলেছে সংগঠনটির সদস্যরা। এছাড়াও, ভবিষ্যতে দেশের খাদ্য সংকটে না পড়ে সে লক্ষ্যে তারা একতারপুর গ্রামের আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা বিভিন্ন মানুষের আবাদি-অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ করে ফসল রোপন করে দিচ্ছে তারা। যাতে করে একতারপুর গ্রামবাসীদের কিছুটা হলেও খাদ্য চাহিদা পূরন হয়। এসকল উন্নয়নমূলক ও সচেতনামূলক কাজের পাশাপাশি আবার খাদ্য বিতরণও করছে তারা।

Comments

comments