আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা মুক্ত হয়েছেন এমপি কাজী কেরামতের সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৫:২৫ অপরাহ্ণ ,২৭ এপ্রিল, ২০২০ | আপডেট: ১১:১৬ অপরাহ্ণ ,২৭ এপ্রিল, ২০২০
করোনা মুক্ত হয়েছেন এমপি কাজী কেরামতের সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি।। ইনশাল্লাহ করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হয়ে টানা ১৩ দিন পর আজ হাসপাতাল থেকে বাড়ী ফিরেছেন- সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলীর সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা (৫৩)। তিনি রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী জানান- সকল মানুষের ভালোবাসায় ও দোয়ায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়ে ২৭ এপ্রিল-২০২০ সোমবার বিকালে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে রাজধানী গুলশানের বাসায় ফিরেছেন তিনি।

এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের পর মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন এমপি কাজী কেরামত আলী। সেই সাথে করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে সামাজিক দুরুত্ব বাজায় রাখতে সকলকে ঘরে থাকার অনুরোধও করেছেন।

জানাগেছে, প্রায় দু’সপ্তাহ আগে একমাত্র কন্যা কানিজ ফাতেমা চৈতিকে সাথে নিয়ে নিজ নির্বাচনি এলাকা রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার ১২ হাজার দরিদ্র মানুষের বাড়ী বাড়ী গিয়ে খাবার পৌছে দিয়ে রাজধানী ঢাকার বাসায় ফিরে যান এমপি কাজী কেরামত আলী। সেখানে গিয়ে দেখেন তার সহধর্মিণীনি রেবেকা সুলতানা অসুস্থ। তখন তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানে পরীক্ষা করারার পর চিকিৎসকরা জানান তার স্ত্রী’র করোনা পজেটিভ। ওই সময়ই এমপি ও তার মেয়েকেও পরীক্ষা করা হয়। তবে তাদের পরীক্ষার ফল আসে নেগেটিভ। এমতবস্থায় রেবেকা সুলতানা তার স্বামী ও মেয়েকে বাসায় চলে যাবার জন্য অনুরোধ করেন। তবে এমপি তাদের একমাত্র সন্তানের সুরক্ষার কথা ভেবে কন্যাকে বাসায় পাঠিয়ে দেন এবং স্ত্রী’র পাশে থেকে যান তিনি। গত ১৩ এপ্রিল থেকে তিনি হাসপাতালের কেবিনে সহধর্মীনির সাথে অবস্থান করে চিকিৎসক ও নার্সদের পাশাপাশি পুরোদমে তার স্ত্রীর সেবা প্রদান করেন এমপি।গত কয়েক দিনে একাধিবার পরীক্ষাও করা হয়।আজ সোমবার দুপুরে তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানার সর্বশেষ পরীক্ষার পর রিপোর্টে করোনা ভাইরাস নেগেটিভ হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়পত্র দিয়েছেন। যে কারণে তাকে বিকালেই বাসায় নিয়ে এসেছেন।

উল্লেখ্য, তাদের একমাত্র সন্তানের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে কন্যাকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে দীর্ঘ সময় রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে অবস্থান করে চিকিৎসক ও নার্সদের পাশাপাশি সহধর্মিণীর সেবা করে নিজ স্ত্রীকে সুস্থ করার মধ্যো দিয়ে ভালোবাসার অনন্য নজির স্থাপন করলেন- এমপি কাজী কেরামত আলী।

Comments

comments