আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কেউ ৩৩৩-এ কল করে ত্রাণ সহায়তার কথা জানাতে পারবে


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ ,২২ এপ্রিল, ২০২০ | আপডেট: ১১:০৯ অপরাহ্ণ ,২৩ এপ্রিল, ২০২০
যে কেউ ৩৩৩-এ কল করে ত্রাণ সহায়তার কথা জানাতে পারবে

জনতার মেইল ডেস্ক।। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকারি সেবা সম্পর্কিত হেল্পলাইন ৩৩৩-এর মাধ্যমে যাতে মানুষ ত্রাণ পায় সে উদ্যোগ নেয় আইসিটি বিভাগ এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য আগামী জুন মাস পর্যন্ত ত্রাণ গ্রহণকারী উপকারভোগীর সংখ্যা নিরূপণের পাশাপাশি কী পরিমাণ ত্রাণ লাগবে তা নির্ধারণে একটি কমিটি করেছে সরকার।

এছাড়াও সারা দেশের উপকারভোগীদের ডাটাবেজ তৈরি এবং ৩৩৩ নম্বরে কল করে যে কেউ যাতে ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তার কথা জানাতে পারেন সেজন্য সফটওয়্যার তৈরিতে একটি ব্যবস্থাপনা এবং একটি কারিগরি কমিটি করে আদেশ জারি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

উপকারভোগীদের সংখ্যা নিরূপণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসনকে আহ্বায়ক করে ২০ এপ্রিল-২০২০ সোমবার ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

করোনা পরিস্থিতিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কর্মহীনদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা দিতে আট দফায় ৬৪ জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য সরকার ৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং ৯৪ হাজার ৬৬৭ মেট্টিকটন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

কমিটিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও রওশন আরা বেগম এবং উপসচিব এ কে এম মারুফ হাসান সদস্য রয়েছে।

এছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. ইফতেখারুল ইসলাম ও হাবিবুল্লাহ বাহার, ত্রাণ সচিবের একান্ত সচিব শাব্বির আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শাহজাহান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রামার মোহাম্মদ আব্দুল কাদেরকে এই কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

আর মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এস এম হুমায়ূন রশিদ তরুণ এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন।

দেশের সব বিভাগ থেকে প্রাপ্ত উপকারভোগীর তালিকা ও এপ্রিল থেকে আগামী জুন মাস পর্যন্ত তাদের ত্রাণ দিতে কী পরিমাণ চাল লাগবে তা এই কমিটিকে নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শাহ কামালকে দুর্যোগের সময় জনগণের বৃহত্তর কল্যাণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআই এর সহযোগিতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সফটওয়্যার তৈরি করতে ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।

এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফয়জুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোহসীন, এসএমওডিএমআরপিএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ নাছিম এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পরিচালক আহমাদুল হক।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসেনকে এই কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।

এই কমিটিকে উপকারভোগীদের ডাটাবেজ ও সফটওয়্যার তৈরির ক্ষেত্রে কারিগরি কমিটিকে দিকনির্দেশনা দেওয়া ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে।

কারিগরি কমিটিতে আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফয়জুর রহমান।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পরিচালক আহমদুল হক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার প্রবীর কুমার দাস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিস্টেম অ্যানালিস্ট মো. অলিদ বিন আসাদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রামার মোহাম্মদ আব্দুল কাদের এবং এসএমওডিএমআরপিএ প্রকল্পের ডাটাবেজ অপারেটর সুমন করকে কারিগরি কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এই কমিটিকে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

এই কমিটিকে এটুআই গ্রোগ্রামের সহায়তায় জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং মোবাইল নম্বর ব্যবহারের মাধ্যমে উপকারভোগীর তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যেক উপকারভোগীর একটি কিউআর কার্ড তৈরির মাধ্যমে নির্ভুল ডাটাবেজ তৈরি করতে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর সরকারি সেবা সম্পর্কিত হেল্পলাইন ৩৩৩-এর মাধ্যমে যাতে মানুষ ত্রাণ পায় সে উদ্যোগ নেয় আইসিটি বিভাগ এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

৩৩৩ এর মাধ্যমে ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তার আবেদন গ্রহণ করা হবে জানিয়ে এই কমিটিকে এই সেবা দেওয়ার জন্য কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি ও উপকারভোগীর ডাটাবেইজ তৈরির কাজ শুরু করতে কমিটিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Comments

comments