আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একুশে বই মেলায় সি.আর.আই স্টল পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ণ ,২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ | আপডেট: ১০:৩৩ অপরাহ্ণ ,৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
একুশে বই মেলায় সি.আর.আই স্টল পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি।। অনলাইনে থাকলে সারাবিশ্বের কাছে এবং সকলের কাছে খুব দ্রুত পৌঁছানো যায়। কাজেই ডিজিটাল লাইব্রেরি হওয়া এটাও একান্তভাবে প্রয়োজন। সেটা জরুরি বলে আমি মনে করি।অমর একুশে গ্রন্থ মেলা-২০১৯ উদ্বোধনের পর ১লা ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সেন্টার ফর রিসার্স এন্ড ইনফরমেশন ( সি.আর.আই ) স্টল পরিদর্শনকালে এ কথা বলেছেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। এখনকার ছেলেমেয়েরা হাতের মধ্যে একটা করে মোবাইল ফোন রাখে, মোবাইল ফোনেই সব পাওয়া যায়। আবার কেউ ছোট ছোট ডিভাইস ব্যবহার করে, এই হাতে একটা যন্ত্র নিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়ে।দেখি আমি, ওটা পড়ে কিন্তু শান্তিটা পাওয়া যায় না। সত্যি কথা বলতে কি ? বইয়ের পাতা উল্টিয়ে উল্টিয়ে পড়ার মধ্যে যে একটা আনন্দ সেই আনন্দটা সব সময় আমরা পেতে চাই। তাই বইয়ের চাহিদা কিন্তু কখনো শেষ হবে না। এটা আমি বলতে পারি। যতই আমরা ইলেকট্রনিক্স যান্ত্রিক ব্যবহার করি না কেন? কিন্ত, ওই যে বইয়ের মলাট, একটা বই বুই শেলফে রাখা, এবং সেটা পড়ার মাঝে আলাদা একটা আনন্দ আছে’।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন- তারপরও আমি বলব, অনলাইনে থাকলে সারাবিশ্বের কাছে এবং সকলের কাছে খুব দ্রুত পৌঁছানো যায়। কাজেই ডিজিটাল লাইব্রেরি হওয়া এটাও একান্তভাবে প্রয়োজন। সেটা জরুরি বলে আমি মনে করি।
এ সময়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- স্টলে এসে সি.আর.আই প্রকাশিত এবং প্রধানমন্ত্রীর নিজের সম্পাদনা করা বঙ্গবন্ধুর জীবনির উপর নির্মিত মুজিব গ্রাফিক নভেলের সাথে তিনি পরিচয় করিয়ে দেন এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সহ অন্যান্য পরিদর্শকদের।

এর আগে, অমর একুশে গ্রন্থ মেলার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- বইয়ের চাহিদা কখনও শেষ হবে না। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতিচারণের পাশাপাশি ওই সময়ের দিনলিপি উপস্থিত অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি। এছাড়া, বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

তিনি বলেছেন- অসাম্প্রদয়িক চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, যেখানে দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান থাকবে না। এসময় ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ এর দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশ করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন- একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু আমাদের শহীদ দিবসই নয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দু’জন প্রবাসী বাংলাদেশি এবং তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে ‘বাংলা’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার সম্মান লাভ করে। ৭৫’এ বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতি বিশ্ব দরবারে খুনি জাতির পরিচিতি লাভ করেছিলো। আজ আবারও আমরা আমাদের ভাবমূর্তি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পেরেছি। বিশ্বে বাংলাদেশ আজ অসাম্প্রদায়িক একটি দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

তিনি বলেন- সাহিত্য চর্চা পারে যুব-সমাজকে সঠিক পড়ে ধরে রাখতে। বই পারে আমাদের চিন্তা চেতনা বিকশিত করতে। আজ আমরা অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি। আর কখনও বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের কোনো স্থান হবে না।

মেলা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে মাসব্যাপী থাকছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মেলায় যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে মেলা প্রাঙ্গণ ঘিরে থাকবে তিন শতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।

Comments

comments