আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আপনি সহযোগী সংগঠনের প্রতি নজর রাখেননা, বল্লেন-রাজবাড়ী জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আনিচ


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৬:২৭ অপরাহ্ণ ,১৩ জুন, ২০১৮ | আপডেট: ৭:৪৬ অপরাহ্ণ ,১৩ জুন, ২০১৮
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আপনি সহযোগী সংগঠনের প্রতি নজর রাখেননা, বল্লেন-রাজবাড়ী জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আনিচ

বিশেষ প্রতিনিধি ।। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আপনি শুধু আওয়ামীলীগের প্রতি নজর রাখেন কিন্তু সহযোগী সংগঠনের প্রতি কোন নজর রাখেননা কেন? ঈদের সময় আওয়ামীলীগকে বকসিস দেন আর মিছিল মিটিংয়ের সময় আমাদের সহযোগী সংগঠনকে মিছিলে বেশি বেশি লোক আনার তাগিদ দেন, আবার ভোটের সময় আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে বেশি বেশি ভালবাসেন। ভোটে পাশ করার পর আমাদের কোন সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে সারা জীবন ডাষ্টবিনে ফেলে রাখেন, কি অপরাধ আমাদের? আপনার থেকে জানতে চাই! মনে জমে থাকা এমন দুঃখ-কষ্ট ভরা অভিমান আর অাক্ষেপের কথা লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটার্স দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও রাজবাড়ী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আনিচুর রহমান আনিচ।

খন্দকার আনিচুর রহমান আনিচের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটার্স টি হুবহু তুলে ধরা হলো।
Khondokar Anisur Rahman is with Ifty Saurov and 9 others.
3 hrs ·
মাননীয় শিক্ষা প্রতি মন্ত্রী ‌মহোদয় । আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনি প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কে ঈদ বকসিস বাবদ একলক্ষ নগদ টাকা ৫০পিছ শাড়ী, ৫০পিছ লুঙ্গি,10পিছ শাট দিয়েছেন। ভালো কথা সামনে নির্বাচন কমীরা কিছু টা হলেও দলীয় ক্ষমতার স্বাদ পেল।

আমার প্রশ্ন হলো আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন গুলো কি অন‍্যায় করেছে । ছাত্রলীগ, যুবলীগ,কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, প্রতি টা সহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা, পৌর সভার, ইউনিয়ন কমিটি রয়েছে তাহাদের আপনি কি করলেন ?

যখন দলীয় কর্মকাণ্ড হয়, মিছিলে লোক আনতে হয় তখন তাদের আগে খোঁজ নেন, বেশি বেশি লোক আনতে বলেন । আমি আপনাকে এ বিষয়ে কিছুই বলার অধিকার রাখি না নিজের কারনে। কিন্তু তখন আমি প্রশ্ন করতে পারি যখন আমি রাজবাড়ী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার অন‍্যন‍্য ইউনিট সভাপতি সম্পাদক আমাকে ফোন করে সব কিছুই জানতে চায়, তখন নিজের কাছে নিজেকে ছোট লাগে মাননীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহোদয় সাহেব বিনয়ের সাথে বলছি আমি তাহাদের কি জবাব দিবো উওর টা বলে দিবেন কি?

এই সব নেতা কর্মীদের কে সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সম্পাদক কি ভাবে মিছিল মিটিং আনবে? তাঁর থেকে নাই বলে দিন আমার রাজত্বে তোমাদের কোন সুযোগ সুবিধা তো দূরের কথা দল করার দরকার নেই। তোমরা আমার রাজত্ব থেকে দূরে কোথাও চলে যাও। আপনার কাছে দু’হাত করজোড়ে মিনতি করছি সামাজিক ভাবে অনেক আগেই আমরা অর্থের অভাবে আমাদের সম্মান হারিয়ে ছি, রাজনীতিক ভাবে যতটুকু আছে সে টুকু কেড়ে নেবেন না, একত্রিশ বছরের রাজনীতি জীবনে একত্রিশ জন ভাই তো ভালো বাসে সেই ভাইদের কাছে আমাদের আর ছোট করবেন না। আমরা খুবই খুব ভালো আছি। ভূল হলে ক্ষমা করবেন।

 

খন্দকার আনিচুর রহমান আনিচের এমন অভিমানের সুরে অভিযোগ দেখে মাঠে-ঘাটে খোঁজ-খববর নিয়ে দেখা যায়, সকল সহযোগী সংগঠনের সার্বিক সহযোগীতা করে থাকেন আরেক জন অবহেলিত মানুষ। যার নেই কোন ক্ষমতার চেয়ার, অথচ তার রয়েছে ব্যাপক জন প্রিয়তা। থাকবেই-বা-না কেন?তিনি যে সকল মানুষের সেবা করেন, সকল সংগঠনের অবহেলিত কর্মিদের দিকে খেয়াল রাখেন, সার্বিক সহযোগীতা করেন, তিনি সংগঠনে আছেন বলেই রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলায় আওয়ামীলীগের শক্তিশালী ঘাটি হয়ে আছে।


যে মহানুভব ব্যাক্তির কথা এতক্ষনে বলা হচ্ছে, জানেন তিনি কে ? তিনি হলেন, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও রাজবাড়ী চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি জননেতা কাজী ইরাদত আলী। তার কথা হলো সংগঠন থেকে কি পেলাম সেটা বড় কথা নয়, আমি সংগঠনকে কি দিলাম সেটাই বড় কথা।

তবে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজবাড়ী আওয়ামীলীগের সবাইকে সুযোগ দিয়েছেন, শুধু বাদ রেখেছেন তাকে। আমাদের জননেত্রী এবার হয়তো তাকেই সুযোগ দেবেন বলে মনে করেন রাজবাড়ী-১ আসনের আওয়ামীলীগ ও সর্ব স্তরের সাধারন মানুষ।

Comments

comments