আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এ পর্যন্ত ত্রান পায়নি বরাট ভবদিয়ার বাগদী সম্প্রদায়ের ৪০টি পরিবার


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৩:২৪ অপরাহ্ণ ,১৫ এপ্রিল, ২০২০ | আপডেট: ৬:৩৫ অপরাহ্ণ ,১৫ এপ্রিল, ২০২০
এ পর্যন্ত ত্রান পায়নি বরাট ভবদিয়ার বাগদী সম্প্রদায়ের ৪০টি পরিবার

নিজস্ব প্রতিনিধি।। রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ১-নং ওয়ার্ডের আওতাধীন পশ্চিম ভবদিয়া গ্রামের বাগদী সম্প্রদায় (আদিবাসী) হতদরিদ্র অসহায় ৪০/৪২টি পরিবারের মধ্যে এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার সরকারি-বেসরকারি ত্রান সামগ্রী দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সরজমিনে পশ্চিম ভবদিয়া গ্রামের বাগদী সম্প্রদায়ের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এসকল আসহায় ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন- করোনাভাইরাসের কারনে লক ডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে এলাকার চেয়ারম্যান/মেম্বার আমাদের এ পর্যন্ত কোন ত্রান দেন নাই। সাহায্যের জন্য মেম্বারকে বলেছি, তিনি বলেছেন সরকারী ত্রান পাইনি, পেলে আপনাদেরকে দেওয়া হবে।  তবে কখন আমাদের দেওয়া হবে তা নির্ধারিত করে বলেননি তিনি।

সাধন বিশ্বাস, অনিতা রানী, স্বপন বিশ্বাস সহ আরো অনেকেই জনতার মেইলকে বলেন- আমরা নদী, বিল থেকে কুছা ও মাছ ধরে সেটা বিক্রি করে সংসার চালাই। করোনাভাইরাসের কারনে সরকার দেশ লকডাউন করে দিয়েছে, প্রায় ১৮/১৯ দিন ধরে ঘর থেকে বের হতে পাড়ছি না। সুদে টাকা, হাওলাত ও বাঁকি খেয়ে এ কয়েকদিন পাড় করেছি। এখন আর কেউ টাকাও হাওলাত দেয়না আবা সদাইও বাঁকি দেয়না, গত দু’দিন থেকে না খেয়ে কোন মতে দিন পাড় করছি পরিবার নিয়ে। শুনেছি বাসা থেকে বের হতে মাস্ক পরতে হয় কিন্তু এই মাস্ক ক্রয়ের টাকাও নেই আমার কাছে। এ অবস্থায় আমি পরিবার নিয়ে কিভাবে চলবো, কি খাব? কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। আবার টেলিভিশনে দেখি আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলে থাকেন- দেশে খাবারের অভাব নাই, আপনারা বাড়িতেই থাকেন, সরকারী লোকজন যার যার বাড়িতে খাবার পৌছে দিয়ে আসবে, কেউ চিন্তা কইরেননা।কিন্তু আমাদের-তো কেউ খাবারও দিলোনা, কোন খোঁজ খবরও নিলনা। সে কারনে (সাংবাদিক) আপনাকে অনুরোধ করছি- আমাদের অভাব-অনটনের কথাটা তুলে ধরে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। যাতে আমাদের কষ্টের কথাটা সরকার জানতে পারে। দেশের বিত্তবানরা জানতে পারে। তারা জানলে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই এগিয়ে আসবে ও সাহায্য-সহযোগীতা দেবে। (যোগাযোগঃ সাধন বিশ্বাস: ০১৭৬৮-১৬১৫৫৯, স্বপন বিশ্বাস: ০১৭২৬-২৮৯৯৩৯)

এ বিষয়ে, ১৫ই এপ্রিল-২০২০ বুধবার ৩.টা ১০মিনিটের সময় মুঠো ফনে রাজবাড়ী সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ সাইদুজ্জামানকে অবগত করলে তিনি জনতার মেইলকে বলেন- ওই লোকগুলোর তালিকা করে চেয়ারম্যানকে দিতে বলেন, আমি ব্যবস্থা করছি। এ সময় অন্যান্য লোকের সমস্যার কথা বললে তিনি বলেন- চেয়ারম্যানকে একটন করে দিচ্ছি ১০০ জনকে দেওয়ার জন্য, সেটা শেষ হলে আবারও দেওয়া হচ্ছে। ত্রানের পরিমান কম, প্রতিদিন অনেক লোক আসছে, কাকে রেখে কাকে দিব।তবে এলাকা ভিত্তিক দিচ্ছিনা।তাছাড়া নির্দেশনা অনুযায়ি শ্রেনী/পেশা ভিত্তিক কিছু কিছু করে দেওয়া হচ্ছে। যেমন:- মাহেন্দ্র শ্রেনী, ট্রাক শ্রেনী, নির্মান শ্রমিক, হোটেল-রেস্তরা, যার যার শ্রেনীর তালিকা করে নিয়ে আসুক দেখবো।

বরাট ইউনিয়নের ১-নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুজনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন- ওরা-তো এ পর্যন্ত আসলেই কোন ত্রান পায় নাই। ঠিক আছে আমি বাগদী সম্প্রদায়ের তালিকা করে কালকের মধ্যেই ইউএনও স্যারের কাছে দিয়ে আসবো। ওরা যাতে কিছু পায়, আপনিও একটু খেয়াল রাইখেন।

Comments

comments