ভয় দেখিয়ে টাকা ও মোবাইল হাতিয়ে নেওয়ায় গোয়ালন্দঘাট থানার ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
![প্রতিবেদক](http://www.janatarmail.com/wp-content/uploads/2018/03/icon-1.png)
প্রকাশিত: ৩:১৫ অপরাহ্ণ ,৫ জুলাই, ২০২৩ | আপডেট: ১:১৭ পূর্বাহ্ণ ,১৪ আগস্ট, ২০২৩
![ভয় দেখিয়ে টাকা ও মোবাইল হাতিয়ে নেওয়ায় গোয়ালন্দঘাট থানার ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ভয় দেখিয়ে টাকা ও মোবাইল হাতিয়ে নেওয়ায় গোয়ালন্দঘাট থানার ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ](https://janotarmail.com/wp-content/uploads/2023/08/210.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার।। ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার ও এসআই মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি ও রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন মো. ইমরান হুসাইন নামে এক ব্যবসায়ী। এ অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে রাজবাড়ী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইফতেখারুজ্জামান জানান, এটা পুলিশের বিভাগীয় বিষয়। আমার কাছে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তনাধীন।
অভিযোগে উল্লেখ, মামলা দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ী ইমরানের থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার নগদ টাকা, সামসাং ব্র্যান্ডের দু’টি দামি মোবাইল সেট ও ভারত থেকে আনা মেজজুল খেঁজুর নেন ওসি স্বপন কুমার মজুমদার ও এসআই মনিরুল ইসলাম। এছাড়াও ১৫টি পাঞ্জাবি কিনে দিতে চাপ সৃষ্টি করেন তারা।
ভুক্তভোগী মো. ইমরান হুসাইন জানান, সদর সার্কেল অফিসে তার অভিযোগের বিষয়ে স্বাক্ষী দেওয়ার পর থেকে ওসি স্বপন ও এসআই মনিরুল ইসলাম অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিচ্ছেন। তাকে নামে বে-নামে হুমকিও প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনায় উর্ধত্বন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ প্রদান করে প্রাণ নাশের হুমকিতে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে, ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন; মো. ইমরান হুসাইনের বাড়ি যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার গোয়াখোলা গ্রামে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় প্রতারণার মামলা রয়েছে। ইমরানের থেকে কোনো ঘুষের টাকা, মোবাইল ফোন নেওয়া হয়নি, আবার পাঞ্জাবিও চাওয়া হয়নি। দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে সম্প্রতি গত ২৪শে মে ইমরানের একজন প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলীকে ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করে রাজবাড়ী কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছিলো। ইমরান আমাকে অনুরোধ করেছিল তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য, কিন্তু আমি তাকে কোর্টে চালান দেই। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইমরান পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিকট মিথ্যা অভিযোগ করে আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করছেন।”