ষড়যন্ত্রের শিকার!গোয়ালন্দ শিশু সংসদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ ,২২ আগস্ট, ২০১৯ | আপডেট: ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ ,২৩ আগস্ট, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার।। জনসাধারনেসর ধারনা ষড়যন্ত্রের শিকার গোয়ালন্দ শিশু সংসদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম। সে সংগঠনের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে শিশু সংসদকে একটি অন্যতম সংগঠনে পরিণত করেছিল। অসহায় ও গরীব দুস্থদের সাহায্য-সহযোগীতা, মাদক, সন্ত্রাস, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে প্রচার-প্রচারোনা চালিয়ে আসছে। যার কর্মকান্ড বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে (পত্র-পত্রিকায়) প্রকাশ হয়। যা অসাধু ব্যাক্তিদের হিংসার সৃষ্টি হয়।
সকলেই অবগত আছে যে, দৌলতদিয়া মাদক ও সন্ত্রসের আখরা। সেখানে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী প্রচার-প্রচারোনা চালানোতে কিছু অসাধু, অশিক্ষিত ব্যক্তি তাহার উপর ক্ষুব্ধ হয়। সে শিক্ষিত সমাজের পক্ষে ছিল এবং সমাজের মঙ্গলের জন্য ভাল কাজ করে আসছিল এটাই ছিল তার তার বড় অপরাধ। সে কারনেই, তাকে মেয়েলি অপবাদ দিয়ে ফাঁসানোর ব্যার্থ চেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে ওই সকল অশিক্ষিত ও অসাধু ব্যক্তিরা বলে মনে করছেন জনসাধারন।
আরেকদিকে জানাযায়, সম্প্রতি দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সে,একজন শিক্ষিত,সৎ, যোগ্য,জনবান্ধব চেয়ারম্যান প্রর্থীকে সাপোর্ট করায় ওই সকল অসাধু ব্যক্তি তার উপর আরো ক্ষুব্ধ হয়। যার জের ধরে আজ একটি মেয়েলি বিষয়ে বিভিন্ন ফাঁসানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নামে গুজব ছড়ায়ে যাচ্ছে ওই সকল অসাধু ব্যক্তিরা,বলে জনসাধারন মনে করেন।যা একেবারেই ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে, গোয়ালন্দ শিশু সংসদের চেয়ারম্যান জহিরুল মোল্লা বলেন-গত ২০শে আগষ্ট ‘দৈনিক সকাল বেলা’ নামের একটি অনলাইন পত্রিকায় “গোয়ালন্দ শিশু সংসদে বড় পদ দেয়ার প্রোলভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ” শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা একেবারেই অসত্য ও ভিত্তিহীন জানিয়ে তিনি বলেন— আমার সন্মান খুন্ন করতেই আমার বিরুদ্ধে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে। আমি গোয়ালন্দ শিশু সংসদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সামাজিক কাজের মাধ্যমে শিশু সংসদকে গোয়ালন্দের বুকে একটি অন্যতম সংগঠনে পরিণত করেছি। অসহায় ও গরীব দুস্থদের সাহায্য-সহযোগীতা, মাদক, সন্ত্রাস, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে প্রচার-প্রচারোনা করায় কিছু অসাধু, অশিক্ষিত ব্যক্তি ব্যক্তি আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি, একজন শিক্ষিত, সৎ, যোগ্য,জনবান্ধব চেয়ারম্যান প্রর্থীকে সাপোর্ট করায় ওই সকল অসাধু ব্যক্তি আমার উপর আরো ক্ষুব্ধ হয়। যার জের ধরে আজ একটি মেয়েলি বিষয়ে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। কিন্তু মেয়েটির পরিবারের সাথে আমার পরিবারের দীর্ঘদিনের আত্মীয় এর সমপর্ক রয়েছে। এমতাবস্থায় মেয়েটির পরিবার আমাকে অনুরোধক্রমে দাওয়াত দিলে আমি ওইদিন সকাল ১০.টার সময় যাই। সেখান থেকে ঘুড়ে আসার পরই কিছু অসাধু ব্যক্তি আমার নামে গ্রামে গুজব ছড়িয়ে দেয়। এবং বিকেল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নামে বিভিন্ন গুজব ছড়ায়। যা একেবারেই অসত্য ও ভিত্তিহীন। আমি এর তিব্র পতিবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, ২০শে আগষ্ট ‘দৈনিক সকাল বেলা’ নামের একটি অনলাইন পত্রিকায় “গোয়ালন্দ শিশু সংসদে বড় পদ দেয়ার প্রোলভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি হুবহু দেওয়া হলো।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষিত ছাত্রী দৌলতদিয়া মজিদ শেকের পাড়ার বাসিন্দা ও মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার গার্লস স্কুল এন্ড কলেজর ৯ ম শ্রেণীর ছাত্রী। ধর্ষক জহিরুল মোল্লা,(২৪) হোসেন মন্ডল পাড়ার খবির মোল্লার ছেলে এবং গোয়ালন্দ শিশু সংসদের চেয়ারম্যান।
জহিরুল মোল্লা গোয়ালন্দ শিশু সংসদের চেয়ারম্যান। অতি সম্প্রতি এই সংগঠনের ইউনিয়ন কমিটি গঠিত হচ্ছিল এমতাবস্থায় ঐ কিশোরী স্কুল ছাত্রীকে মূল কমিটিতে বড় পদ দেয়ার কথা বলে প্রতিনিয়ত অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯ (আগস্ট) সোমবার রাএে ঐ কিশোরীকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে মজিদ শেকের পাড়ায় আসলে এলাকাবাসী তাকে হাতে নাতে আটক করে।
ধর্ষিতার চাচা বলেন, জহিরুল মোল্লা গোয়ালন্দ শিশু সংসদের নাম ভাঙিয়ে এসব অনৈতিক কাজ করে আসছিল।
গোয়ালন্দ শিশু সংসদের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আমিনুল ইসলামের বুলবুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, এ ঘটনা শোনা মাএই জহিরুল মোল্লাকে গোয়ালন্দ শিশু সংসদের চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ শিশু সংসদের সাবেক দুইজন সাধারণ সম্পাদকের একজন মাদকসহ গ্রেফতার হয় আর একজন অন্যের বউ নিয়ে চলে যায় এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যাকেই পদ দেই তারাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জরিত হয়।