রাজবাড়ীতে পালিত হলো শোকাবহ জেল হত্যা দিবস
প্রকাশিত: ৮:৩৩ অপরাহ্ণ ,৩ নভেম্বর, ২০১৮ | আপডেট: ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ ,৪ নভেম্বর, ২০১৮
রাজবাড়ী প্রতিনিধি।।জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে রাজবাড়ীতে পালিত হয়েছে শোকাবহ জেল হত্যা দিবস।
এ উপলক্ষে ৩রা নভেম্বর-১৮ শনিবার সকালে কালো ব্যাজ ধারন, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। এবং বিকেলে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ৮.টার দিকে জেলা আওয়ামীলীগ, পৌর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, যুব মহিলা আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন পুষ্প্য মাল্য অর্পণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সোবাহান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাঃ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, এ্যডভোকেট শফিকুল আজম মামুন, পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এসএম নওয়াব আলী, জেলা যুব মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মীর মাহফুজা খাতুন মলি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ্যাডঃ সফিকুল হোসেন সফি, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. মোঃ উজির আলী শেখ, সাধারন সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ প্রমূখ।
দিবস উপলক্ষে একই দিন বিকেল ৪.টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ডাঃ আব্দুস সোবহাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী.এমপি। সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি কামরুন্নাহার চৌধুরী লাভলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার,জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, হেদায়েত আলী সোহরাব, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এসএম নওয়াব আলী, প্রচার সম্পাদক এ্যাড. রফিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক এ্যাড. আশা, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুব লীগের যুগ্ন-আহবায়ক আবুল হোসেন শিকদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক আনিছুর রহমান আনিছ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকে এ্যাড. শফিকুল হোসেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. গণেশ নারায়ন চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জান, জেলা কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক আবু বক্কর খাঁন উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুব লীগ, স্বেচ্ছাসসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগের, যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে- দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।
উল্লেখ্য, ‘‘মানবতা ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে ৩রা নভেম্বর একটি কলঙ্কিত দিন।১৯৭৫ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এবং জাতির পিতার আজীবন রাজনৈতিক সহচর জাতীয় চার নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এম. মুনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামানকে ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এ ধরনের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ও নজিরবিহীন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পরে খুনি মোশতাক ও জিয়াচক্র এদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে যাতে কোনদিন স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেই কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান জেলখানার অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।
সেই থেকে ৩ নভেম্বর যেথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শোকাবহ এ দিবসটিকে জাতীয়বাবে স্মরণ ও পালিত হয়ে আসছে।