টকশোতে মিথ্যা বললে জেল-জরিমানা:সম্প্রচার আইনের খসড়া অনুমোদন
প্রকাশিত: ৪:৫২ অপরাহ্ণ ,১৬ অক্টোবর, ২০১৮ | আপডেট: ৪:৫২ অপরাহ্ণ ,১৬ অক্টোবর, ২০১৮
গণমাধ্যমের লাইসেন্স প্রদান ও বাতিলের একচ্ছত্র ক্ষমতা দিয়ে সাত সদস্যের কমিশন গঠনের বিধান যুক্ত করে সম্প্রচার আইন ২০১৮–এর অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
১৫ অক্টোবর-১৮ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আইনটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
শফিউল আলম জানান, প্রস্তাবিত আইনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাষ্ট্রপ্রধানের ব্যাপারে বিকৃত তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রকাশের দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ কোটি টাকার জরিমানার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া টকশোতে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচার করলে একই সাজার কথা বলা আছে এই আইনে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইন অনুযায়ী আদালত কর্তৃক দুই বছরের দণ্ড পাওয়া কোনো ব্যক্তি অথবা বিকৃত মস্তিষ্ক ও দেউলিয়া ঘোষিত কোনো ব্যক্তির মালিকানায় গণমাধ্যম প্রকাশিত হলে সাত বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা হবে।
শফিউল আলম বলেন, সম্প্রচার কমিশন গঠনের জন্য প্রথমে পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। পরে রাষ্ট্রের উপযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সাতজনকে নিয়ে কমিশনটি গঠনের সুপারিশ করবে এই সার্চ কমিটি। গঠিত ওই কমিশন উপযুক্ততার ভিত্তিতে দেশের রেডিও, টেলিভিশন, অনলাইনসহ সব ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে লাইসেন্স দেবে। কোনো কারণে লাইসেন্স বাতিল করতে হলেও, সেটা করতে পারবে কমিশন। সরকারের অনুমোদন নিয়ে কমিশন এই দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া গণমাধ্যমগুলোর লাইসেন্স নবায়নও করবে এই কমিশন।’
লাইসেন্স কী কী কারণে বাতিল হতে পারে এবং কত বছর পরপর লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে আইনটিতে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। পরে বিভিন্ন বিধিতে এগুলো যুক্ত করা হবে।
শফিউল আলম আরো জানান, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি করতেও অনুমোদন দেবে এই কমিশন। এ ছাড়া গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে কমিশন তার নিষ্পত্তি করবে।
(বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর)