ভূমিহীনদের জন্য সরকারি ঘর নির্মাণে দুর্নীতির সাথে জড়িত ইউএনও ও এসিল্যান্ডদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন।
প্রকাশিত: ৪:০৮ অপরাহ্ণ ,১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | আপডেট: ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ ,২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
স্টাফ রিপোর্টার।। ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ ও বণ্টনে লাগামহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিন বলেন- বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে যাতে কোন ভূমিহীন না থাকে সেজন্য মুজিববর্ষে সারাদেশের ভূমিহীনদের জন্য ঘর বরাদ্দ করেন। ওই সকল ঘর নির্মাণে যেখানে ১২ মিলি রড দেওয়ার কথা ছিল, ১০ মিলি কলামে, ৮ মিলি রডের রিং দেওয়ার কথাছিল ১২ টি। সেখানে দেওয়া হয়েছে মাত্র ২ টি রিং। সিমেন্ট একেবারেই কম দিয়ে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ঘর নিমার্ণ করায় ঘরের মান অত্যান্ত নিম্নমানের হয়েছে। যে কারনে অল্প সময়ের ব্যবধানে দেয়ালে ফাটল ধরেছে। যে কোন মুহুর্তে ঘর ভেঙ্গে দূর্ঘটনায় প্রাণহানীর সম্ভবনা রয়েছে। নির্মিত ঘরের চালের বাটাম ভেঙ্গে গিয়েছে। ভূমিহীনদের ঘর বন্টনে স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে ঘর দেওয়া হয়েছে। বেড়া উপজেলার বেড়িবাঁধের দুই পাশে হাজার হাজার ভূমিহীন থাকা সত্ত্বেও বেড়া উপজেলায় ঘর বন্টনে প্রকৃত ভূমিহীনদের রাখা হয় নাই। অর্থনৈতিক লেনদেন ও স্বজনপ্রীতি করে যারা ভূমিহীন নয় তাদেরকেই ঘর দেওয়া হয়েছে। জমি অধিগ্রহণেও অনিয়ম দূর্নীতি করা হয়েছে। এই সকল দুর্নীতির সাথে ইউএনও ও এসিল্যান্ডরা জড়িত রয়েছে। এই লাগামহীন দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে ইউএনও এবং এসিল্যান্ডসহ যারা জড়িত আছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা ও রাজারহাট উপজেলা শাখা আয়োজিত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তৃতায় এসব কথা তুলে ধরেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বেড়া উপজেলায় ভূমিহীনদের প্রতিনিধি না রাখার কারনে এই ব্যাপক দূর্নীতি সংঘটিত হয়েছে বলে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন মনে করে। সে কারনে, বিষয়টি মানবিক ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে বেড়া উপজেলায় ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণে ও বণ্টনে লাগামহীন দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রকৃত ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ ও বন্টন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি আরো বলেন, মানুষের বাড়ি-ঘর সরেজিন থেকে একটু উচুঁ থাকে বা করে, কারণ বৃষ্টির পানি যাতে জমে না থাকে। অথচ যে সমস্ত এলাকায় আবাসন/ গুচ্ছগ্রাম তৈরি করা হয়েছে, প্রতিটি গুচ্ছগ্রাম সরেজমিনে বা তার চেয়েো নিচুঁ জমিতে নির্মান করা হয়েছে। কোনরকম একটু বৃষ্টি হলেই ঘরের সামনে পানি জমে থাকে, যা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টি নামলে যে অবস্থা দেখা দেয়ে, দেখে মনে হয় মানুষের ঘর নয়, মনে হয় গোয়ালঘর। আগামীতে যে সকল স্থানে নতুন ঘর/ আবাসন বা গুচ্চগ্রাম তৈরি করা হবে, সেগুলো যেন সরেজমিনের চেয়ে একটু স্থানে তৈরি করা হয়, বলে দাবি জানান তিনি।
শেখ নাসির উদ্দিন ভিপি জমি প্রসঙ্গে বলেন; ভিপি “ক” তফসিলভুক্ত জমিগুলো সরকারের অধীনে থাকায় দের কাছে লিজ বা বন্দোবস্ত দিতে পারছে, কিন্তু ভিপি “খ” শ্রেণীর জমিগুলো সরকারের আওতায় নেই সেগুলো ভূমিখেকোদের দখলে রয়েছে। ভূমি দখলবাজরা ভুয়া ও জ্বাল কাগজপত্র তৈরি করে ভূমি অফিসের দুর্নীতিবাঁজ লোকজনের যোগসাজশে আদালতে মামলা দিয়ে একতরফা রায় নিয়ে জমিগুলো আত্মসাৎ করছে, কেউ করার চেষ্টা করছে। সারা দেশে পড়ে থাকা এসব ছবিগুলো তালিকা করে ভিপি “খ” শ্রেণী হতে “ক” শ্রেনীতে এনে ভূমি বাঁজদের থেকে উদ্ধার করে ভূমিহীনদের মাঝে লিজ জ বা বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য দাবী জানান তিনি। এতে একদিকে সরকারের আয় বৃদ্ধি পাবে, অপরদিকে ভূমিহীনরা জমি পাবে।