আজ : শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দির বিভিন্ন বাজারে ঈদের কেনাকাটা মন্দা।


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৬:৫১ অপরাহ্ণ ,২ জুলাই, ২০২২ | আপডেট: ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ ,৪ জুলাই, ২০২২
বালিয়াকান্দির বিভিন্ন বাজারে ঈদের কেনাকাটা মন্দা।

বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি।।  ঈদ মেনেই আনন্দ। ঈদ মানেই খুশি। দীর্ঘ এঈটি বছর পার করে আবার সামনে আসছে ঈদুল আযহা। আগামী ১০ জুলাই সারাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কোরবাণী ঈদ, অর্থাৎ ঈদুল আযহা। অথচ জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বাজারগুলোতে এবারের ঈদে কেনাকাটার কোনো আগ্রহ উপলোব্ধি করা যাচ্ছে না।

ঈদের কেনাকাটার কোনো ছোঁয়া লাগেনি গার্মেন্টস, কসমেটিক্স, শাড়ী কাপর, জুতার দোকানে। বাজারে ঘুরে বোঝার উপায় নেই আরমাত্র কয়েকটি দিন পর ঈদুল আযহা। ঈদ ঘনিতে এলেও বাজারগুলোর কাপড়, কসমেটিক্সসহ বিভিন্ন দোকানগুলোতে নেই কেনাবেচার ব্যস্ততা। যেখানে কেনাবেচায় মুখরিত থাকার কথা সেখানে খরিদ্দারের অভাবে অলস সময় পাড় করছেন দোকানীরা। গতকাল শনিবার বালিয়াকান্দির জামালপুর, আড়কান্দি, বালিয়াকান্দি, সোনাপুর, রামদিয়া বহরপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাহারী কারুকাজ, হাতের নকশা, ব্লক, নানা রঙ্গের কাপড়ে রঙ্গের ছাপসহ বিভিন্ন রঙিন পোশাকে সেজেছে গার্মেন্টস, কাপড়ের দোকানগুলো। এনেছেন নতুন নতুন কালেকশনও।

তবে এবারে বাজারে বেশিরভাগই রাখা হয়েছে সুতির কাপড়। ছেলে, মেয়ে, শিশুসহ সকলের জন্যই সব ধরনের পোশাক ও তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এবারের কালেকশনগুলোর মধ্যে রয়েছে, ছেলে শিশুদের জন্য শার্ট, ফতুয়া, শর্ট স্লিভ, ফুল স্লিভ, লং প্যান্ট, কোয়ার্টার প্যান্ট ও বিভিন্ন রংঙের পাঞ্জাবী। এছাড়া মেয়ে শিশুদের জন্য রয়েছে, ফ্রক, পার্টি ফ্রক, ফ্যাশান টপস্, থ্রী পিচ, জ্যাম্প স্যূট, নীমা সেট, টপ বটম সেট, লং ও শর্ট স্লিভ শার্ট, পলো টি – শার্ট ও কার্গো। এসব পোশাক বিক্রি করছেন ২৫০ টাকা থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। পুরুষদের জন্য রয়েছে, হালকা ও সেকসই ফেব্রিকের তৈরী বিভিন্ন রংয়ের পাঞ্জামি কালেকশন, শার্ট, টি-শার্ট, ইজি কেয়ার শার্ট, পাজামা, ডেনিম প্যান্টস, কাইতেকি প্যান্টস, জিন্স ও গ্যাবাডিং। মেয়েদের জন্য রয়েছে, থ্রী-পিচ, টু-পিচ, কাজ করা জর্জেট কামিজ, ডিসকস কামিজ, বিভিন্ন রংয়ের প্রিন্ট লং শার্ট, টপস, টিউনিকস, কামিজের জন্য রয়েছে এ্যামব্রোডারী স্ক্যান্টস পালাজ্জো, লেগিংস।

এছাড়াও মেয়েদের জন্য রয়েছে নানা কালেকশনের বোরকা। আলী আহসান, কবির হোসেন, রেজাউল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান নামের কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা বলেন, বাজারে এসেছিলাম ঘুরতে। অবসর সময় কাটাতে বহরপুর খান মার্কেটে থেখি এবারে দোকানীরা অনেক ভালো ভালো কালেকশন ম্যানেজ করেছেন। অথচ কেনাবেচা নেই কোন। ঈদকে সামনে রেখে বেসরকারী একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কেনাকাটা করতে এসে স্ত্রীর জন্র থ্রী -পিচ ও ছেলের জন্য থ্রী কোয়াটার প্যান্ট এবং মোবাইল সার্ট কিনেছেন। তানি বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন। একটু ঘুরতে এসে কাপড় পছন্দ হওয়ায় কিছু কেনাকানা করলাম। ঈদ উপলক্ষ্যে দাম একটু বেশি হলেও পণ্যের মান অনেক ভালো। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের কালেকশনগুলো একটু বৈচিত্রময়। এর আগে মহিলা ক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত থাকতো উপজেলার বিভিন্ন বাজারের কাপড়, কসমেটিক্স ও জুতার দোকানগুলো। কেতাদের সন্তুষ্ট করার পাশাপাশি হাসি খুশি থাকতেন।

এবারে কেনাবেচায় মন্দা ভাব থাকায় হাসি নেই দোকানীদের মুখে। বিক্রয়কারীরা বলেন, প্রতি বছর সকাল থেকে রাত অর্ধেক পর্যন্ত কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করতে হতো। এবছর ক্রেতার অভাবে অলস সময় পার করতে হচ্ছে। পোশাকের পাশাপাশি মন্দা ভাব পড়েছে জুতা ও প্রসাধনীর দোকানেও। কারন প্রতি বছর শাড়ী কাপড়ের সাথে ম্যাচিং করে কেনাবেচা হতো চুড়ি, নেইল পলিশ, ফিতা, কাকড়াক্লিপ। জুতাও কিনতেন মেচিং করেই।

Comments

comments