আজ : রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৩ নং চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত ।


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৭:৪৩ অপরাহ্ণ ,৩ মার্চ, ২০২২ | আপডেট: ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ ,৪ মার্চ, ২০২২
১৩ নং চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত ।

বিধান কুমার।। রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১৩ নং চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, বীরত্বগাঁথা “মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান” সম্পর্কে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

৩‘রা মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় চন্দনী ইউনিয়নরে আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদে এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ।

চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ আদ্বুর রবের সভাপতিত্বে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক করিমুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিরোধ বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমথ বিশ্বাস, ইউনিয়ন পরিষদের সচীব, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আকরাম হোসেন, চন্দনী ট্যাকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক, আশীক মাহমুদ, ইউপি সদস্য বৃন্দ, সংরক্ষিত নারী সদস্য বৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বৃন্দ প্রমূখ।

এসময় চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  মোঃ আদ্বুর রব বলেন, বাঙালি ও বাংলা ভাষার অবস্থান নিয়ে আত্ম-অন্বেষায় যে চেতনার উন্মেষ ঘটে তারই পরিক্রমায় পূর্ব বঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর- ডিসেম্বর মাসে ভাষা বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে সীমিত আকারে আন্দোলন শুরু হয় এবং ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী তার চরম বর্হিপ্রকাশ ঘটে।

বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র বাংলা ভাষায় কথা বলা ও সাহিত্য রচনাকারী এবং সর্ব সাধারণ জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন ২১ শে ফেব্রুয়ারী।এই দিনটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও একান্ত পরিচিত। বাংলাদেশীদের কাছে মর্মান্তিক ও মহিমান্বিত দুঃখ স্মৃতি বিজড়িত একটি দিন হিসাবেও চিহ্নিত হয়ে আছে।

১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী ( বাংলা১৩৫৮ সালের ০৮ ফাল্গুন, বৃহস্পতিবার)  বাংলাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পাকিস্তানি পুলিশ গুলি বর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে কয়েকজন ভাষাপ্রেমী তরুণ শহীদ হন এবং তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রফিক, সালাম,জব্বার, শফিউল, বরকতসহ নাম না জানা অনেকেই। তাই বাংলাদেশের সমগ্র জনগণ এই দিনটিকে ‘শহীদ দিবস’ হিসাবে পালন করে থাকে।

Comments

comments