আজ : বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয়ের নেতৃত্বের অপেক্ষায় আগামীর বাংলাদেশ’


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ ,২৮ জুলাই, ২০২১ | আপডেট: ১:০৯ পূর্বাহ্ণ ,৩১ জুলাই, ২০২১
‘বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয়ের নেতৃত্বের অপেক্ষায় আগামীর বাংলাদেশ’

ঢাকা।। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় কোটি কোটি তরুণের স্বপ্ন সারথী, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্যের কারিগর। আগামীর বাংলাদেশ তার নেতৃত্বের জন্য অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করছে।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫১তম জন্মদিন উপলক্ষে ২৭ শে জুলাই-২১ মঙ্গলবার রাতে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রায় সজীব ওয়াজেদ জয়; আসাদে প্রত্যাশা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার বক্তব্যে এ সব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, তরুণদের তথ্য-প্রযুক্তি বিপ্লবের মাধ্যমে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতির ভিত রচনায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর এ দৌহিত্র। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীকে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তার চিন্তা ও কর্মধারা দেশে বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে; যা বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যড. বাকী বিল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। অন্যন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

গতকাল মঙ্গলবার ৫১ বছরে পা রাখেন সজীব ওয়াজেদ জয়। যুদ্ধের দামামার মাঝেই ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনার ঘর আলো করে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক শিশু। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের পর নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রিয় দৌহিত্রের নাম রাখেন জয়।

‘জয়’ দিয়ে জীবনের শুরু হলেও শৈশবেই তাকে হতে হয় কঠিন নিষ্ঠুরতার মুখোমুখি। ৭৫ এ ঘাতকদলের নির্মম বুলেটে নানা-নানীসহ ছিন্নভিন্ন হয় যায় পুরো পরিবার। ৭৫ পরবর্তী লন্ডন হয়ে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকেন ভারতে। পড়াশোনা করেন বিশ্বের প্রসিদ্ধ সব বিদ্যাপিঠে। নিজেকে গড়ে তোলেন একজন প্রতিষ্ঠিত কম্পিউটার প্রকৌশলী হিসেবে।

জীবনের বড় একটি সময় প্রবাস জীবন যাপন করলেও দেশ ভাবনা থেকে কখনো পিছপা হননি বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০১৪ সালে দায়িত্ব নেন মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন তিনি। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইটেক পার্ক নির্মাণ, ফোর-জি চালু, ইন্টারনেটের দাম কমানো, কম্পিউটারের শুল্কমুক্ত আমদানি, ফ্রিল্যান্সিংয়ে উৎকর্ষ সাধনসহ অনলাইনে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদান অনন্য। যার সুফল আজ ভোগ করছে কোটি বাঙালি। কেননা করোনা মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থমকে গেলেও তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ পাচ্ছে বাড়তি সুবিধা।

সজীব ওয়াজেদ জয় মনে করেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে বাংলাদেশ হতে চলেছে আগামীর নেতা। যার নেতৃত্বে থাকবে দেশের তরুণ প্রজন্ম। তাই তরুণ উদ্যোক্তা ও নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলার’ সূচনা হয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বেই।

শ্রমনির্ভর অর্থনীতিকে প্রযুক্তিনির্ভর করে তুলতে জাতীয় পর্যায়ে চলমান কর্মপ্রয়াসের কেন্দ্রবিন্দুতে সজীব ওয়াজেদ জয়। যার নেতৃত্বে দেশের উত্তরণ ঘটেছে অফলাইন থেকে অনলাইনে। প্রযুক্তির বরপুত্র, ডিজিটাল বাংলাদেশের এ রূপকারের হাত ধরেই আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাবে তারুণ্য।

Comments

comments