আজ : শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাংশায় সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ইউপি সদস্য গাজি’র বিরুদ্ধে


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ ,৫ জুলাই, ২০২১ | আপডেট: ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ ,১৩ জুলাই, ২০২১
পাংশায় সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ইউপি সদস্য গাজি’র বিরুদ্ধে

বিধান কুমার বিশ্বাস।। রাজবাড়ীর পাংশায় বয়স্ক, বিধবা ভাতা ও সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন গাজি’র বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন গাজি উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের ৩-নং ওয়ার্ড সদস্য।

সরকারি ঘর বরাদ্দ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এবং ৫ হাজর টাকা করে নিয়ে ঘর না দেওয়া সহ বয়স্ক ও বিধবা ভাতার জন্য ৫শত টাকা করে য়ে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

রবিবার সরেজমিনে গেলে কৃষক মোঃ ফজলু বিশ্বাস বলেন- সরকারি ঘর দেওয়ার জন্য আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন নাসির উদ্দিন গাজি মেম্বার। আমি তাকে নগদ ২৮ হাজার ৫ শত টাকা দেই। পরে আরো টাকা দাবি করেন তিনি। আমি টাকা না দেওয়ায় আমার ঘরের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আমি ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পুর্ণ করি। এই ঘর পেতে আমার সর্বমোট খরচ হয়েছে ৫৮ হাজার ৫ শত টাকা। মোঃ ফজলু বিশ্বাস ইউনিয়নের কাজিয়ালপাড়া গ্রামের কবেদ বিশ্বাসের ছেলে। একই গ্রামের মৃত মালেকের ছেলে শামীম মন্ডল বলেন, প্রায়  দেড় বছর আগে সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১১ হাজর ৫ শত টাকা নিয়েছিল, কম টাকা দেওয়ায় ঘর দিতে না পেরে আমার টাকা ফেরৎ দিয়েছে।

এছারাও ৫ হাজার টাকা করে দিয়ে ঘর না পাওয়ার অভিযোগ করেছে অনেকেই নাসির উদ্দিন গাজি মেম্বারের বিরুদ্ধে।

অভিযোগকারীরা হলেন, খান্দুয়া গ্রামের মুলান্দি মন্ডলে ছেলে মোঃ নসির মন্ডল (বাদাম বিক্রেতা), রহিম মন্ডলের স্ত্রী মোছাঃ কহিনুর খাতুন, মোঃ তোফাজ্জলের স্ত্রী মোছাঃ হাসিনা ও আকাই শেখের ছেলে মোঃ আকমকল শেখ।

তারা বলেন, সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে প্রায় দেড় বছর আগে আমাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছে নাসির উদ্দিন গাজি (মেম্বার) ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন গাজি বলেন, আমি সরকারি ৬ টা ঘর বরাদ্দ পেয়েছি, কারো কাছ থেকে জোরপূর্বক কোন টাকা নেয়া হয়নি। তবে কেউ কেউ খুশি মনে কিছু টাকা দিতে চেয়েছিল এখনো পর্যন্ত দেয়নি। আর বয়স্ক ও বিধবা ভাতা কার্ডের জন্য অফিস খরচ বাবদ ৫ শত টাকা করে নিয়েছি, তাতে কি হইছে?

মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান প্রামানিক বলেন, সরকারি ঘর বরাদ্দের জন্য কারো কাছ থেকে কোন প্রকার অর্থ নেওয়া হয়নি।  যদি কেউ গোপনে অর্থিক লেনদেন করে থাকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ আলী জনতার মেইলের এ প্রতিবেদককে বলেন- এ বিষয়ে মৌখিক বা লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments

comments