আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত; এতে চীন ও ভারতের উদ্বেগ
প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ ,১৫ এপ্রিল, ২০২১ | আপডেট: ১১:৫৫ অপরাহ্ণ ,১৬ এপ্রিল, ২০২১
ডেস্ক রিপোর্ট।। আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সামরিক জোট ন্যাটো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বুধবার ঘোষণা দেন যে, আগামী ১লা মে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব সেনা প্রত্যাহারের কাজ শেষ হবে। তবে এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত ও চীন।
১৫ই এপ্রিল-২১ বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। চীন সরকারের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই প্রেস ব্রিফিংয়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। খবর রয়টার্সের।
এদিকে ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের বরাতে দ্য হিন্দু বলছে, তালেবান ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার এক সুরক্ষা সম্মেলনে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর প্রস্তাবিত সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। কারণ, সেনা প্রত্যাহারের ফলে দেশটিতে তৈরি হওয়া শূন্য স্থানটিতে “বিঘ্নকারীরা” পদক্ষেপ নিতে পারে, এমন শঙ্কা রয়েছে।
তবে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও দেশটিকে সমর্থন দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। এই সমর্থন কোনোভাবেই সামরিক হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে দীর্ঘতম যুদ্ধটি বন্ধ করার।’
বাইডেন বলেন, আফগানিস্তানে আমাদের সামরিক উপস্থিতি প্রসারিত বা প্রসারিত করার চক্র আমরা অব্যাহত রাখতে পারি না। তাদের সঙ্গে সামরিকভাবে জড়িত থাকবো না। তবে আমাদের কূটনৈতিক ও মানবিক কাজ অব্যাহত থাকবে এবং আমরা আফগানিস্তান সরকারকে সমর্থন অব্যাহত রাখবো।
বিবিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা ও সাড়ে ৯ হাজার ন্যাটো আফগান মিশনে অংশ নিতে দেশটিতে অবস্থান করছে।
কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দোহায় তালেবানের সাথে সমঝোতা সই হয় যাতে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে। ১১ সেপ্টেম্বরের পর কাবুলে মার্কিন দূতাবাসসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য স্থাপনার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক সেনা আফগানিস্তানে থাকবে।