আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে ২৭/২/২০২১তাং হতে ফেরি চলাচল শুরু। উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিত: ৪:২০ অপরাহ্ণ ,২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | আপডেট: ২:০৭ পূর্বাহ্ণ ,১ মার্চ, ২০২১
স্টাফ রিপোর্টার।। দীর্ঘ ২০ বছর পর আরিচা-কাজিরহাট নৌ-রুটে ২৭শে ফেব্রুয়ারি-২১ শনিবার হতে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০.টার দিকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফেরি সার্ভিসের চলাচলের উদ্বোধন করেন।
এ সময়, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ফেরিঘাট চালুর খবরে খুশিতে যমুনা নদীর দুই প্রান্তের লাখো মানুষ জড়ো হয়।
এর আগে গত ৩রা ফেব্রুয়ারি এই রুটে একটি ফেরি পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার বাস্তবায়নে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতকারী জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে উপহারস্বরূপ আরিচা-কাজিরহাট ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়।
জানা গেছে, আরিচা-কাজিরহাট ফেরি রুটের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার। আরিচা থেকে কাজিরহাট যেতে সময় লাগবে ১ঘণ্টা ৩০ মিনিট, কাজিরহাট থেকে আরিচা আসতে সময় লাগবে ১ঘণ্টা ১০ মিনিট। একটি রো রো (বড়) ও দুটি মিডিয়াম ফেরি দিয়ে এ রুটের সার্ভিস শুরু হয়েছে।
এ রুটে বড় বাসের ভাড়া ২ হাজার ৬০, ট্রাকের ভাড়া ১ হাজার ৪০০, মাইক্রোবাসের ভাড়া ১ হাজার, কার (ছোট গাড়ি) এর ভাড়া ৬৮০, মোটরসাইকেলের ভাড়া ১০০ এবং যাত্রীর ভাড়া ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু করতে যমুনা নদীতে নতুন করে চ্যানেল তৈরিতে ১২ লাখ ঘন-মিটার বালু ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে। দুপারের ঘাট-পন্টুন নির্মাণ, বিকন বাতি, মার্কিং বাতিসহ আনুসাঙ্গিক অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি টাকা।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা এরিয়া অফিসের (মেরিন বিভাগ) এজিএম আব্দুস সাত্তার জানান, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু করেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের( বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক জানান, আগে ড্রেজিং সক্ষমতা ভালো না থাকায় ফেরি চলাচলের উদ্যোগ নেওয়ার পরও তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিআইডব্লিউটিএ এর এখন ৪৫টি ড্রেজার রয়েছে। এখন ড্রেজিং সক্ষমতা ভালো। কাজেই নাব্য সংকটের অজুহাতে এখন ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।