মাদকের পর দূর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ;মন্ত্রীদের কাজকর্মের হিসেব নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: ৯:৪৮ অপরাহ্ণ ,২৭ মে, ২০১৮ | আপডেট: ১০:৫০ অপরাহ্ণ ,২ জুন, ২০১৮
জনতার মেইল ডেস্ক ।। সরকারের মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সব মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিবরণী চেয়ে পাঠানো হয়েছে । প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের সাফল্যগুলো অনতিবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী । মাদকের পর শুরু হবে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান ।
সরকারের ঘনিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রণালয়ের সাফল্য-ব্যার্থতা খতিয়ে দেখার পর প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্তে ঢেলে সাজাবেন নির্বাচনকালীন সরকার । আগামী চার মাসের মধ্যে এই নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে । কেবল নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের লক্ষে নয় । আগামী নির্বাচনের প্রচারনায় সরকারের অর্জনগুলো তুলে ধরার জন্যেও মন্ত্রণালয়ের সাফল্যগুলো ব্যবহার করা হবে । আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি নির্দেশনা দিয়েছেন । এই ৩টি নির্দেশনার আলোকে কাজ করছে আওয়ামী লীগ এবং সরকার ।
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রথম নির্দেশনা হল- আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মীমাংসা । আওয়ামী লীগের নিজস্ব গবেষণা টিমের জরীপে জানা গেছে অন্তত শতাধিক আসনে আওয়ামী লীগ কোন্দলে জর্জরিত । এই দলীয় কোন্দল মেটাতে ঈদের পর থেকেই কোন্দল প্রবল এলাকার নেতৃবৃন্দদের সংগে পর্যায় ক্রমে নিজেই বসবেন প্রধানমন্ত্রী । এজন্য কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ।
প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় নির্দেশনা হলো- সরকারের বিগত ১০ বছরের সাফল্য এবং উন্নয়নের ফিরিস্তি জনগনের কাছে তুলে ধরা । শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, স্থানীও পর্যায় এমপিরা যেসব উন্নয়ন করেছেন তাঁর বিবরনি তুলে ধরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে । নির্বাচনের আগে সারাদেশে উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরবে আওয়ামী লীগ ।
প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় নির্দেশনা হলো- সমাজের ক্ষত গুলোর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান । প্রধানমন্ত্রী নিজেই বৃহস্পতিবার রাতে বলেছেন, আমরা জাতির পিতার হত্যার বিচার করেছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি, জঙ্গীবাদ দমন করেছি এখন মাদক মুক্ত বাংলাদেশ করবো । প্রধানমন্ত্রী এব্যাপারে শুন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণের জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন ।
সংশিষ্ট সূত্র গুলো আরো বলছে, মাদক অভিযানের পর আওয়ামী লীগ দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে জোর দেবে । প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন ‘মাদকের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে । ’ এব্যাপারে দুনীর্তি দমন কমিশনকে স্বাধীন ভাবে দলমত বাছ বিচার না করে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন ।
একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের খবরে জানা গেছে, সমাজের কিছু সুশীলরা ছাড়া সাধারন মানুষ মাদক বিরোধী অভিযানকে বিপুল ভাবে সমর্থন জানিয়েছে । এরপরই শুরু হবে দূর্নীতি বিরোধী অভিযান । ইতিমধ্যে তার কিছু দৃশ্যমান ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে ।
প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, আওয়ামীলীগ সরকার হচ্ছে জনকল্যান সরকার, তাছাড়াও এই তিন নির্দেশনার আলোকে কাজ করলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারবে না ইনশাল্লাহ ।