আজ : শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদের আগে ২,৫০০ টাকা করে পাচ্ছে দেশের ৫০ লাখ পরিবার


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ ,১৩ মে, ২০২০ | আপডেট: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ ,১৩ মে, ২০২০
ঈদের আগে ২,৫০০ টাকা করে পাচ্ছে দেশের ৫০ লাখ পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার।।  প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে ঈদের আগে এককালীন ২,৫০০ টাকা করে দেবে সরকার। তাদের এককালীন ২ হাজার ৫০০ টাকা করে দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে ১ হাজার ২৫৭ কোটি টাকাও ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। গত ১১ মে, সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয় এ অর্থ ছাড় করেছে বলে জানা গেছে।

আগামীকাল ১৪‌ মে-২০২০ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা এ কার্যক্রমের উ‌দ্বোধন কর‌বেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকা‌রি বাসভবন গণভবন থে‌কে সরাস‌রি নগদ অর্থ প্রেরণ করা হ‌বে।

জানা গে‌ছে, মে এবং জুন এই ২ মাসে ৫০ লাখ প‌রিবার ৫ হাজার ক‌রে টাকা পা‌বে। বিকাশ, নগদ, ক‌্যাশ, র‌কেটের মাধ‌্যমে প‌রিবারগু‌লোর কা‌ছে টাকা পৌঁ‌ছে যা‌বে। সহায়তার এ অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনা খরচে প্রত্যেক পরিবারের হাতে ঈদের আগে পৌঁছে দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সা‌ড়ে ১০.টায় মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবার মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের মোবাইল হিসাবে সরাসরি নগদ অর্থ প্রেরণ কর‌বেন প্রধানমন্ত্রী।  অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাজেট-১ শাখা ৬২৭ কোটি টাকা এবং বাজেট-৩ শাখা ৬৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। উদ্বোধনের দিন থেকে পরের ৪ দিন ১০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ পরিবারকে এ অর্থ দেয়া হবে। বাকি ১০ লাখ পরিবারও অর্থ পেয়ে যাবে এর মধ্যেই। সুবিধাভোগীদের মোবাইল ব্যাংক হিসাবে এ টাকা পাঠানোর খরচও পরিশোধ করবে সরকার। সেবা মাশুল বাবদ আরো ৭ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে।

প্রতি হাজারে টাকা পাঠানোর সেবা মাশুল হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার প্রতি হাজারে মাত্র ৬ টাকা করে দেবে। অর্থাৎ পরিবারপ্রতি আড়াই হাজার টাকা পৌঁছাতে সরকারের বাড়তি খরচ হচ্ছে ১৫ টাকা করে।

সরকারের এ কাজে সহযোগিতা করবে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সেবাদানকারী চার প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো-বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আর্থিক লেনদেন সেবা ‘নগদ’, ব্র্যাংক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং ‘বিকাশ’, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ‘রকেট’ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের শিওরক্যাশ।

জানা গেছে, উদ্যোগটির সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। আর পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সাহায্যে। তালিকায় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষকে রাখা হয়েছে।

অনিয়ম ঠেকাতে এবার উপকারভোগীদের নামে করা ডিজিটাল কার্ডের ভিত্তিতে এই সহায়তা দেয়া হবে। এ জন্যই তালিকা করতে কিছু সময় লাগছে বলে জানা গেছে। রিকশা-ভ্যানচালক, দিনমজুর, পরিবহণ-নির্মাণ-কৃষি শ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, হকাররা আছেন এ তালিকায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন এ তালিকা তৈরি করেছে। যা চূড়ান্তভাবে যাচাই করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেসব পরিবারকে সহায়তা দেয়া হচ্ছে তাদের মধ্যে যাদের মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট নেই, তাদের একাউন্ট খুলতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আর সরকারের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা এটিতে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করে  আরো বেশি মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তার আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন।

Comments

comments