দেশের দরিদ্র তরুনদের ব্যবহার করে নেতারা
প্রকাশিত: ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ ,৩০ নভেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ ,৩০ নভেম্বর, ২০১৯
জনতার মেইল।। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়ে আজ আমরা একটি নতুন প্রজন্মের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে এ কথা ঠিক। দেশের আমজনতা স্বাধীনতা পেয়েছি কি ? না পায়নি! আমরা পরাধীন ছিলাম,জিম্বি ছিলাম চাচাত ভাইদের (পাকিস্থাননের) কাছে। স্বাধীনতা পেয়েও আজও আমরা জিম্মি রয়েছি আপন ভাইদের (পূঁজিবাদদের) কাছে। চাচাতদের জিম্বিদশা থেকে রেহাই পেলেও রেহাই পাইনি আপনদের শৃঙ্খল হতে। পূজিবাদ রাজনৈতীক নেতাদের কাছে আমরা এখোনো জিম্বিই রয়ে গেলাম।
এমন দশা থেকে রেহাই পেতে হলে, অর্থ-সম্পদসহ সকল বিষয়ে সরকারকতৃক সকলকে দিতে হবে সমঅধিকার। আর এই অধিকার থেকে মানুষদের বঞ্চিত করতে রাজনীতিকে কুক্ষিগত করতেই অপরাজনীতি করে চলেছে দেশের প্রতিটি জেলার কিছু পুঁজিবাদ রাজনৈতিক নেতা। যারা কি-না লুটপাট করে সাধারন মানুষদের দরিদ্র করে রেখে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
কারন বিশ্লেষণঃ- মানুষের মৌলিক অধিকার ৫টি। তা হলোঃ- অন্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান ও শিক্ষা। এই সকল অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এক বা একাধিক ব্যক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করার নাম রাজনীতি। তবে, এখনকার রাজনীতি ভিন্ন।
মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত বাংলাদেশের শিংহভাগ। এই অধিকার আদায়ের জন্য কেউ রাজনীতি করে। আর কেউ অধিকারকে মূলা হিসাবে ঝুলিয়ে অভাবিদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের দিয়ে রাজনীতি করানোর নামে নিচ্ছে ফায়দা লুটে।
আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মলগ্ন এবং তার পরবর্তী প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল দরিদ্র তরুণদের প্রচেষ্টায়। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৬ দফা আন্দোলন, ’৭১-এর মুক্তি সংগ্রাম, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনসহ সব আন্দোলনের প্রাণ ছিল বাংলার দরিদ্র দামাল ছেলে।
স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলনে যারা বুকের রক্ত দিয়েছে, জেল খেটেছে, তারা বেশীরভাগই ছিল অভাবি। আর, তাদের আন্দোলনের ফসল ভোগ করছে আজকের পুঁজিবাদী রাজনৈতিক নেতারা।
তারা রাজনীতির নামে দরিদ্র তরুনদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে করছে চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, ভূমিদখল, প্রাকৃতিক সম্পদ লুটপাট, দূর্নিতী আর অপরাজনীতি। অস্তিত্ব আর প্রভাব বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক সংগঠনকে দূর্বল করতে অস্ত্রবাজ, সন্ত্রাস ও মাদকবাজসহ উশৃংখল যুবকদেরকে বস করতে সংগঠনের নেতা বানিয়ে নিজের কোয়ামকে করছে শক্তিশালী। মূলত রাজনীতিকে কুক্ষিগত করতে এ অপপ্রায়াস চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এ কারনে দিন দিন বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
রাজবাড়ী জেলার রাজনীতির শির্ষস্থানেও রয়েছে এমন ব্যক্তি। এদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশেষ অনুরোধ রইলো আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রদ্ধেয় জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি।