অনলাইন পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভেরিফিকেশন সফটওয়ারের কার্যক্রম শুরু
প্রকাশিত: ১২:১১ অপরাহ্ণ ,২৪ নভেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ৯:১৫ অপরাহ্ণ ,২৪ নভেম্বর, ২০১৯
বিজ্ঞপ্তি।। যাত্রা শুরু করলো ঢাকা রেঞ্জে অনলাইন পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভেরিফিকেশন (পিপিসি) এর সফটওয়ার ভিত্তিক কার্যক্রম। এখন থেকে ঢাকা রেঞ্জের ১৩টি জেলায় (ঢাকা, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর) পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদনকারীগণ তদন্ত কার্যক্রম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সয়ংক্রিয়ভাবে তদন্তকারী অফিসারের নাম ও মোবাইল নম্বর এবং ঢাকা রেঞ্জের একটি সাপোর্ট মোবাইল নম্বর জেনে যাবেন মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে।
একইসাথে, তদন্তকারী অফিসারও জেনে যাবেন তার নিকট তদন্তের জন্য প্রদান করা পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য তথ্য। আবেদনকারীগণ তার নিকট প্রেরিত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে জানতে পারবেন তার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা।
অপরদিকে, তদন্তকারী অফিসার জরুরী পাসপোর্টের ক্ষেত্রে তিন দিন এবং সাধারণ পাসপোর্টের ক্ষেতে পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীর মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রতিবেদন তার পক্ষে বা বিপক্ষে গিয়েছে তা জানানো হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকারী অফিসার তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল না করলে ঢাকা রেঞ্জের মনিটরিং শাখা এবং সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের নিকট সয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য প্রদান করবে সফটওয়ারটি। এছাড়াও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কোন অভিযোগ বা পরামর্শ জানাতে আবেদনকারীর মোবাইলে পাঠানো ঢাকা রেঞ্জের সাপোর্ট নম্বরে ফোন করতে পারবেন।
২৪ নভেম্বর-১৯ রবিবার ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) এ সংক্রান্তে মোবাইল এসএমএস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান Info bip এর কর্মকর্তাদের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাকা রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পাসপোর্ট এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভেরিফিকেশনে সচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মহোদয় গত ৩ মাসব্যাপী বিভিন্ন সমীক্ষা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সফলভাবে সফটওয়ারটি উন্মুক্ত করলেন। এছাড়াও পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ভুয়া তদন্তকারী অফিসার সেজে অনেক প্রতারক পাসপোর্ট আবেদনকারীর নিকট ফোন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানী করে থাকে। এসব হয়রানী থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পাবে এ কার্যক্রমের মাধ্যমে।