চুমু খেতে বাধ্য করার দায়ে সৌদি রাজকন্যার ১০ মাসের জেল
প্রকাশিত: ১২:২৯ অপরাহ্ণ ,১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ ,১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। ২০১৬ সালে প্যারিসের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে কাজ করতে আসা এক মিস্ত্রিকে পায়ে চুমু খেতে বাধ্য করা ও মারধরের দায়ে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের মেয়ে (সৌদি রাজকন্যা) হাসা বিনতে সালমানের ১০ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত।
১২ সেপ্টেম্বর-১৯ বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের একটি আদালত এ রায় দেন। শুধু ১০ মাসের কারাদণ্ড নয় হাসা বিনতে সালমানকে মিস্ত্রিকে মারধর ও অপহরণের অভিযোগে ১০ হাজার ইউরো জরিমানা করেছেন আদালত। বিবিসি বলছে, হাসার দেহরক্ষী রানি সাইদিকেও ৮ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। এই অংক ৯ লক্ষ টাকার বেশি।
আইনজীবীদের অভিযোগ, রাজকন্যা হাসা বিনতে সালমান প্যারিসে এক বাথরুম মেরামতকারীকে তার ছবি তুলতে দেখে খেপে যান। রাজকন্যা হাসাকে ক্ষতি করার জন্য ওই ছবি ব্যবহার করা হতে পারে এমন ভয়ে তিনি এ কাজ করে বলে জানা যায়।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের এ ঘটনার পরই ফ্রান্স ছেড়ে চলে যান রাজকন্যা হাসা। তবে বৃহস্পতিবার ওই রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না সৌদি প্রিন্সেস।
কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার পর হাসার আইনজীবী ইমানুয়েল মইন বলেন, তাঁর মক্কেল অত্যন্ত বিনয়ী, ভদ্র এবং সংস্কৃতিমনা। তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
জানা যায়, প্যারিসে হাসার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে কাজ করা সংশ্লিষ্ট কর্মীর নাম আশরাফ ইদ। তিনি মিসরের নাগরিক। মামলায় আশরাফ ইদ অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন তাঁকে ওই অ্যাপার্টমেন্টের ষষ্ঠ তলায় ডেকে নেওয়া হয় এবং রাজকুমারীর পায়ের পাতায় চুম্বন করতে বাধ্য করা হয়। একপর্যায়ে হাসা বিনতে সালমানের নির্দেশে তাঁর দেহরক্ষী ওই কর্মীকে মারধর করেন, তাঁকে কয়েক ঘণ্টা বেঁধে রাখেন।
তবে রাজকন্যা তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তাঁর ভাষ্য, ওই কর্মী মোবাইলে তাঁর (রাজকন্যা) ছবি তুলেছেন। ছবি তুলে সেগুলো বিক্রি করার মতলব এঁটেছিলেন। যদিও মারধরের শিকার ওই কর্মী বলছেন, তাঁকে শৌচাগারের বেসিন সংস্কার করার জন্য ডাকা হয়েছিল। ওই কাজের জন্যই তিনি শৌচাগারের ছবি তুলেছিলেন। রাজকন্যার ছবি তোলেননি তিনি।