বালিয়াকান্দি কলেজ অধ্যক্ষের অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ
প্রকাশিত: ১২:৫২ অপরাহ্ণ ,২৯ মার্চ, ২০১৯ | আপডেট: ১০:০৮ অপরাহ্ণ ,৩০ মার্চ, ২০১৯
উজ্জল চক্রবর্ত্তী-স্টাফ রিপোর্টার।। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সময়মত কলেজে না আসা এবং পরীক্ষার অতিরিক্ত ফি গ্রহনসহ একাধিক অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।তারা, অধ্যক্ষকে অপসারণ দাবী জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগানসহ কলেজের জানালার গ্লাস ভাংচুর করে।
২৮শে মার্চ-১৯ বৃহস্পতিবার দুপুরে বালিয়াকান্দি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলাকালিন সময়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এসময় শিক্ষার্থীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুরের পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কুমারেশ সরকার কলেজে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবী তুলে মিছিল করতে থাকে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যায়। নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা’র নিকট তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন।
এসময় ইউএনও তাদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষককে নিয়ে কোন অভিযোগ আমাদের নেই। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ স্যার প্রতিদিনই দুপুরের আগে কলেজে আসেন না। এছাড়াও তারা অতিরিক্ত ফি গ্রহনের অভিযোগও করেন। তারা জানান, আগামি এপ্রিল মাসের ৩ তারিখ থেকে আমাদের একাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু একেক জনের নিকট থেকে বিভিন্ন রকম অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। একটি মফস্বল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বছরে প্রায় ৫ হাজার টাকার উপরে আদায় করা হচ্ছে। তারা বলেন, যেহেতু কলেজ সরকারী হয়েছে সেহেতু কেন বিভিন্ন রকম ফি ধায্য করা হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মিম জানান, আমাদের অধ্যক্ষ স্যার নিয়মিত কলেজে আসেন না। এর আগে আমাদের কলেজের ছাদের পলেস্টার পড়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে সেগুলোর কোন ব্যবস্থা তারা করেন না। তাছাড়াও কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কলেজের ইচ্ছামত ফি আদায় করা হচ্ছে। কলেজের অধ্যক্ষ ১২টর আগে একদিনও কলেজে আসেন না। একজন অধ্যক্ষ যদি অনিয়মিত ভাবে কলেজে আসেন তাহলে আমাদের কলেজ কিভাবে চলে সেটি আপনারা বিচার করবেন।
নিয়মিত না আসা এবং অতিরিক্ত ফি’র বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কুমারেশ সরকার বলেন, একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা কিছু না বুঝেই কারো উসকানীতে বিক্ষোভ করে। তারা জানালার গ্লাসসহ ফুলের টব ভাংচুর করেছে। তবে পুনরায় তাদের নিয়ে বসলে তারা ক্ষমা চেয়ে ভুল স্বীকার করেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। তবে তার অপসারণের বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ভুল বুঝে এটি করেছে। চাইলে পদত্যাগ করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম রেজা জানান, শিক্ষার্থীরা আমার কাছে এসেছিল। তাদের বেতনাদির বিষয়ে তার কাছে দাবী তোলেন। নোটিশের মাধ্যমে তোমাদের পাওনাদি পরিশোধ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তারা আশ্বাস পেয়ে শান্ত হয়ে চলে যান। তবে তাদের দাবী লিখিত আকারে প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।