এবার পুলিশকে ‘জানোয়ার’ বললেন ড.কামাল হোসেন, প্রতিবাদ জানালেন সিইসি
প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ ,২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ | আপডেট: ৬:১২ অপরাহ্ণ ,২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
জনতার মেইল ডেস্ক।। পুলিশকে জানোয়ার বললেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকের সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন পুলিশকে জানোয়ার, পেটোয়া বাহিনী ও আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনী বলায় তিব্র প্রতিবাদ করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ক্ষ্যাপার কারনে ক্ষেপে গেলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরেকদিকে বৈঠক ছেড়ে চলে গেলেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
২৫শে ডিসেম্বর-১৮ মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে পুনর্নির্ধারিত বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। সিইসির নেতৃত্বে কমিশনের পক্ষ থেকে কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
এ বৈঠক থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেননি ড. কামাল হোসেন। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রেস বিফ্রিং করেন।
সূত্র জানায়, বৈঠক শুরুর পর প্রায় দেড় ঘণ্টা তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বাভাবিক আলোচনা চলছিল। এ সময় বিএনপির মহাসচিব ছাড়াও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বক্তব্য দেন। এ সময় উত্তেজিত হয়ে ড. কামাল হোসেন তার বক্তব্যের মধ্যে পুলিশকে গালাগালি করতে থাকেন।
ড. কামাল সিইসি কে এম নূরুল হুদার উদ্দেশে বলেন, সিইসি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির চেয়েও শক্তিশালী। পুলিশ হচ্ছে জানোয়ার, পুলিশ হচ্ছে আওয়ামী লীগের গুন্ডা বাহিনী, তারা আমাদের ওপর হামলা করছে।
আপনি ইচ্ছা করলে জানোয়ার-লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনার এই পেটোয়া পুলিশ বাহিনী আমাদের মিটিং-মিছিল কিছুই করতে দিচ্ছে না। তারা আমাদের ওপর হামলা করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও তার জোটের নেতাকর্মীরা পুলিশের সহায়তায় ঠিকই প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে সিইসি তিব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আপনি এমন কী হয়েছেন যে, পুলিশকে লাঠিয়াল-জানোয়ার যা-তা বলছেন। নিজেকে কী মনে করেন? সিইসি এমন কথা বলায় ড. কামাল হোসেন রাগের বসতে উঠে দাঁড়ালে এসময় সিইসিও উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
এ সময় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সবাই বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। একপর্যায়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম নেতাদের সামলানোর চেষ্টা করেন। এরপর ডা. কামাল সিইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান।
তখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান সিইসিকে বলেন, নির্বাচনের কোনও পরিবেশ যদি সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে বলে দেন, আমরা আজকেই প্রেস ক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বর্জনের ঘোষণা দেব।
পরে, প্রেস বিফ্রিংয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সিইসির আচরণ ভদ্রজনিত ছিল না। এ জন্য আমরা সভা বয়কট করেছি। তিনি বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে এবং নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। ইসি সরকারের পক্ষ হয়ে গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, সিইসি কোনো ভদ্রসূচিত আচরণ করেননি। তিনি কোনও সহানুভূতি না জানিয়েছে হঠাৎ করেই পুলিশের পক্ষেই অবস্থান নেন। তাই আমরা বৈঠক থেকে চলে এসেছি।