আজ : মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পবিত্র ‘মহররম’ বা আশুরার তাৎপর্য।।অপসংস্কৃতি ও বিধি-নিষেধ


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৭:১০ অপরাহ্ণ ,২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ | আপডেট: ৭:১০ অপরাহ্ণ ,২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
পবিত্র ‘মহররম’ বা আশুরার তাৎপর্য।।অপসংস্কৃতি ও বিধি-নিষেধ

মতাদর্শে হিজরী ৬১ সনের ১০ মহররম ঐতিহাসিক কারবালার প্রান্তরে অত্যাচারী শাসক ইয়াজীদ ইবনে মুয়াবিয়ার বাহিনী কর্তৃক হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ)- কে যে নির্মম ভাবে শহীদ করা হয়। সেই হৃদয় বিদারক মর্মান্তিক ঘটনা স্মরণেই পালিত হয় আশুরা। মহররম মাসের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়। আরবি ‘আশারা’ অর্থ দশ। সেই সুবাদে ওই তারিখ আশুরা বলে উল্লেখিত হয়ে আসছে।১০ তারিখে আশুরা বা কারবালা বার্ষিকী পালিত হয়। ৯ ও ১০ তারিখে রোজা রাখার কথা হাদীস শরীফে ঘোষিত হয়েছে।

এই তারিখে ইমাম হযরত হুসাইন ইবনে আলী (রা:) খলীফা ইয়াজীদ ইবনে মুয়াবিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কারবালা প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেন। বিশেষ করে আশুরার দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ।

                                                    পবিত্র ১০ই ‘মহররম’ এর তাপর্য

# আল্লাহ পাক এ তারিখে আসমান, জমিন, লওহে কলম সৃষ্টি করেছেন এবং এই ১০ মহররম মহাপ্রলয় বা কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে।

# আল্লাহ তায়ালা আদি পিতা হযরত আদম (আঃ)- কে ১০ মহররম দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।

# মুসলিম মিল্লাতের পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ঈমানের মহা কঠিন পরীক্ষা দিতে নমরুদের অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন ১০ মহররম।

# ১০ মহররম খোদাদ্রোহী ফেরাউন বিপুল সেনাবাহিনী নিয়ে নীল দরিয়ার অতল তলে ডুবে মরে আর হযরত মুসা (আঃ) বনি ইসরাইলদের নিয়ে পানির উপর দিয়ে পার হয়ে যান।

# হযরত ইউনুছ (আঃ) ৪০ দিন মাছের পেটে অবস্থানের পর ১০ মহররম নাজাত পেয়েছিলেন।

# হযরত নূহ (আঃ) ৪০ দিনের মহাপ্লাবনের পর ১০ মহররম নৌকা থেকে বেলাভূমিতে অবতরণ করেন।

# হযরত ঈসা (আঃ) ইহুদিদের অত্যাচার, নির্যাতন শূলদণ্ড থেকে মুক্তি লাভের জন্য সশরীরে চতুর্থ আসমানে উপস্থিত হন ১০ মহররম।

# হযরত ইয়াকুব (আঃ) তাঁর হারানো ছেলে হজরত ইউসুফ (আঃ)- কে ফিরে পান এবং দৃষ্টিশক্তি আবার ফিরে পান ১০ মহররম।

# ধৈর্য, সহনশীলতার মূর্ত প্রতীক হযরত আয়ুব (আঃ) ১৮ বছর কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত থেকে আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় ১০ মহররম আকস্মিকভাবে আরোগ্য লাভ করেন।

# কাবাঘরের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল এবং ঐতিহাসিক কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা সংগঠিত হয়, যা বিশ্বের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা।

                                                    মহররম মাসের অন্যান্য বিশেষত্ব

এই দিনেই হযরত ইদ্রিস (আ:) সশরীরে জান্নাতে প্রবেশ করেছিলেন। আবার এই দিনেই কেয়ামত সংঘটিত হবে। এতসব ঘটনার চিত্র যে মাস স্বীয় বুকে ধারণ করে আছে এর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য যে অপরিসীম তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বস্তুত ‘মহররম’ হচ্ছে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী মাস। ‘আবহমানকাল ধরে চলছে মিথ্যার সাথে সত্যের লড়াই। সৃষ্টির ইতিহাসে এ দুইয়ের বৈরিতা চিরন্তন। তা যেমন শক্ত তেমনি শক্তিশালী। এ দ্বন্দ্ব কখনো মুছে যাওয়ার নয়, কিংবা নয় থেমে থাকারও। সত্যের সাথে শত্রুতা ঘোষণা করেই হয় মিথ্যার জন্ম। আর মিথ্যাকে প্রতিহত করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে এগিয়ে আসে সত্য।’ এভাবেই সত্য প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বিজয় মাল্য লাভে ধন্য হয়। মাহে ‘মহররম’ এই শিক্ষাই দিয়ে যায় বারবার।

এই দিনের নেক আমল / নামাজ

> হযরত আলী (রা:) হতে বর্ণিত: রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যাক্তি মহররমের দশম রাত্র জেগে এবাদত করবে, আল্লাহ তাকে উত্তম জীবন দান করবেন।

> গাউছুল আজম হযরত আব্দুল কাদের জ্বীলানী (রহ:) বলেন, যে ব্যাক্তি মহররমের দশম রাত্র জেগে এবাদত করবে, তার মৃত্যু হবে কষ্টহীন এবং আরামের।

নামাজের কতিপয় নিয়মঃ-

বুযুর্গনে দ্বীনদের মতে আশুরার রাত্রে ২ রাকাত নামাজ আছে। প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতেহা একবার এবং সুরা এখলাস তিন বার। এভাবে যে দুই রাকাত নামাজ পড়বে আল্লাহতায়ালা তার কবরকে রওশন (আলোকিত) করে দেবেন।
এক নিয়তে চার রাকাত নফল নামাজ যার প্রত্যেক রাকাতে একবার সুরা ফাতেহা এবং পঞ্চাশ বার সুরা এখলাস। এভাবে যে ব্যাক্তি ৪ রাকাত নামাজ পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার পঞ্চাশ বছর পূর্বের ও পরের সব গোনাহ মাফ করে দিবেন।

> হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন এক নিয়তে চার রাকাত নফল নামাজ যার প্রত্যেক রাকাতে একবার সুরা ফাতেহা, তিন বার সুরা এখলাস, এবং এক বার আয়তুল কুরসী। এভাবে নামাজ শেষে ১০০ বার সুরা এখলাস পাঠ। এভাবে নামাজ আদায় করলে গুনাহ মাফ হবে এবং জান্নাতের অসীম নেয়ামত হাসেল হবে। রাহাতুল কুলুব গ্রন্থে একবার সুরা ফাতেহা, ১০ বার সুরা এখলাস এবং ৩ বার আয়াতুল কুরসী পড়ার কথা বলা হয়েছে। -(রাহাতুল কুলুব-পৃষ্ঠা ২২৫)

গুনিয়াতুত ত্বালেবিন গ্রন্থে ১০০ রাকাত নফল নামাজের কথা বলা হয়েছে। দুই দুই রাকাত করে, প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতেহা ১ বার এবং সুরা এখলাস ১০ বার। এভাবে ১০০ রাকাত নামাজ আদায় করলে সেই ব্যাক্তির উপরে ৭০টি রহমতের নাযিল করবেন। যার মধ্যে সর্ব নিম্নটি হলো গোনাহ মাফ।

এই দিনের নেক আমল রোযাঃ-

> আবু হোরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রমজানের রোযার পরে, সবচেয়ে উত্তম রোযা হলো মহররম মাসের (আশুরার) রোযা এবং ফরজ নামাজের পরে সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো রাত্রীকালীন (তাহাজ্জুদ) নামাজ ! -(মুসলিম শরীফ)

কুরআন-হাদীসের আলোকে মহররম মাস

কুরআন মাজীদে ও হাদীস শরীফে মহররম মাস সম্পর্কে যা এসেছে তা হল, এটা অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ মাস। কুরআনের ভাষায় এটি ‘আরবাআতুন হুরুম’-অর্থাৎ চার সম্মানিত মাসের অন্যতম। এ মাসে রোযা রাখার প্রতি বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

> হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রমযানের পর আল্লাহর মাস মহররমের রোযা হল, সর্বশ্রেষ্ঠ।’  -{সহীহ মুসলিম :: ২/৩৬৮; জামে তিরমিযী :: ১/১৫৭}

> হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমযান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোযা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’  -[সহীহ বুখারী :: ১/২১৮]

> হযরত আলী (রা:) কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিল, রমযানের পর আর কোন মাস আছে, যাতে আপনি আমাকে রোযা রাখার আদেশ করেন ? তিনি বললেন, এই প্রশ্ন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জনৈক সাহাবি করেছিলেন, তখন আমি তাঁর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘রমযানের পর যদি তুমি রোযা রাখতে চাও, তবে মহররম মাসে রাখ ! কারণ, এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্যান্য জাতির তওবা কবুল করবেন।’   -(জামে তিরমিযী :: ১/১৫৭)

> অন্য হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, আশুরার রোযার কারণে আল্লাহ অতীতের এক বছরের (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।’    -{সহীহ মুসলিম :: ১/৩৬৭; জামে তিরমিযী :: ১/১৫৮}

> আশুরার রোযা সম্পর্কে এক হাদীসে আছে যে, ‘তোমরা আশুরার রোযা রাখ এবং ইহুদীদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করে; আশুরার আগে বা পরে আরো একদিন রোযা রাখ।’   -(মুসনাদে আহমদ :: ১/২৪১)

> হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি তাহলে ৯ তারিখেও অবশ্যই রোযা রাখব।’    -[সহীহ মুসলিম :: ১/৩৫৯]

মহররম মাসের অপসংস্কৃতি ও বিধি-নিষেধ

মহররম মাস এলেই এক শ্রেণীর মানুষ তাজিয়া, শোকগাঁথা পাঠ, শোক পালন, মিছিল বের করা, শোক প্রকাশ্যে নিজের শরীরকে রক্তাক্ত করা প্রভৃতি কাজ করে থাকেন। এ ধরনের কোনো রেওয়াজ ইসলামের কোথাও বর্ণিত হয়নি। এসব রসম-রেওয়াজের কারণে এ মাসটিকেই অশুভ মাস মনে করার একটা প্রবণতা অনেক মুসলমানের মধ্যেও লক্ষ করা যায়।
এগুলো অনৈসলামিক ধারণা ও কুসংস্কার। মোটকথা, এ মাসের করণীয় বিষয়গুলো ; তওবা- ইস্তেগফার, নফল রোযা এবং অন্যান্য নেক আমল। এসব বিষয়ে যত্নবান হওয়া এবং সব ধরনের কুসংস্কার ও গর্হিত রসম-রেওয়াজ থেকে বেঁচে কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক চলাই মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।
বলাবাহুল্য, উম্মতের জন্য এই শোক সহজ নয়। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এরই তো শিক্ষা- ‘নিশ্চয়ই চোখ অশ্রুসজল হয়, হৃদয় ব্যথিত হয়, তবে আমরা মুখে এমন কিছু উচ্চারণ করি না যা আমাদের রবের কাছে অপছন্দনীয়।’

অন্য হাদীসে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই যারা মুখ চাপরায়, বুক চাড়ায়, শরীর রক্তাক্ত করে, কাপড় ছিড়ে এবং জাহেলি যুগের কথাবার্তা বলে।’

 অতএব শাহাদাতে হুসাইন (রা:) কে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অনৈসলামিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হওয়া এবং সব ধরনের জাহেলি রসম-রেওয়াজ থেকে দূরে থাকা প্রত্যেক মুসলিমের অবশ্য কর্তব্য।

                                            আল্লাহর সৃষ্টির মূল রহস্য হলো ” পাক পান্জাতন “।

হযরত রাসূল পাক (সঃ), হযরত আলী (রাঃ), হযরত মা ফাতেমা (রাঃ), হযরত ইমাম হাসান (রাঃ) এবং হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ)। এই পাঁচজনকে পাক পান্জাতন বলা হয়।

সৃষ্টি জগতের ইতিহাসে পাক পান্জাতন কেন এত মহাগুরুত্বপূর্ণ এবং পাক পান্জাতনকে সৃষ্টির মূল উৎস বলা হয় কেন ?

পাক পান্জাতন নিয়ে- রাসূল পাক (সঃ) বলেছেন –

” যে ব্যক্তি আলীকে গালি দিল, সে যেন আমাকে গালি দিল “।( মেশকাত শরিফ, পৃষ্ঠা নং – ৫৬৫ )।

” হে আল্লাহ! আমি যার বন্ধু আলীও তার বন্ধু। হে আল্লাহ! যে আলীকে ভালবাসবে তুমি তাকে ভালবাসিও, যে আলীর শক্রু হবে তুমি তার শক্রু হইও “।( মেশকাত শরিফ, পৃষ্ঠা নং — ৫৬৫ )।

” মোনাফেক ব্যক্তিই আলীকে ভালবাসবে না এবং মোমেন আলীর প্রতি বিদ্বেষ পোষন করবে না “।( মেশকাত শরিফ, পৃষ্ঠা নং ৫৬৪ )।

” আমি এলমের শহর এবং আলী তার দরজা “।( শরহে ফিকহে আকবার, পৃষ্ঠা নং ১১২ )।

” আমি যার মাওলা, হযরত আলী তার মাওলা “।

” ফাতেমা আমার কলিজার টুকরা, যে তাকে রাগান্বিত করবে, সে বস্তুতঃ আমাকে রাগান্বিত করবে “। ( মেশকাত শরিফ, পৃষ্ঠা নং ৫৬৯ )।

” মা ফাতেমা রাঃ আমারই দেহের অংশ। অতএব তাকে যে কষ্ট দিবে সে যেন আমাকেই কষ্ট দিল। যে তাঁকে সম্মান করবে মূলে সে আমাকে সম্মান দিল। যে তাঁকে শান্তি দান করে সে আমাকেই শান্তি দান করল “।

” হে মা ফাতেমা রাঃ তুমি যার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে তার প্রতি স্বয়ং আল্লাহও সন্তুষ্ট এবং তুমি যার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকবে আল্লাহও তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকবেন “।

” দুনিয়ার ধন সস্পদের মধ্যে আমার জন্য হাসান ও হোসাইন স্বর্গীয় ফুলস্বরুপ “।( মেশকাত শরিফ, পৃষ্ঠার নং ৫৬৯ )।

” অন্যত্র বলেন, আমি ইমাম হোসাইন হতে এবং ইমাম হোসাইন আমার হতে “।

” হযরত রাসূলে (সঃ), হযরত মা ফাতেমা রাঃ, হযরত আলী রাঃ এবং হযরত ইমাম হাসান রাঃ ও হযরত ইমাম হোসাইন রাঃ কে নিজ পরিবার বলে আল্লাহ তায়ালার নিকট চিহ্নিত করেছেন “। ( মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা নং ৫৬৮ )।

” পাক পান্জাতনের প্রতি নাই যার প্রেম, কে বলে মানুষ তারে পশু সেই জন “।

Comments

comments