রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে- জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল
প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ ,১৫ আগস্ট, ২০২২ | আপডেট: ১:০১ পূর্বাহ্ণ ,২০ আগস্ট, ২০২২
স্টাফ রিপোর্টার।। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে-জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নেমে আসে।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে-সোমবার (১৫ই আগস্ট-২২) সকালে জেলা প্রশাসন, সংসদ সদস্যগণ, জেলা পুলিশ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণকালে- রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম, রাজবাড়ী-১ আসনের এমপিআলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সালমা চৌধুরী রুমা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি এ্যাড. খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল হোসেন, সাবেক কমান্ডার আমজাদ হোসেন মন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব প্রমুখ।
এছাড়াও, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠরে পক্ষ থেকেও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপর রাজবাড়ী অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। এছাড়াও, বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।