আজ : শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুর কৈজুরী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল বিক্রির অভিযোগ


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ ,২ আগস্ট, ২০২১ | আপডেট: ১:২১ পূর্বাহ্ণ ,৯ আগস্ট, ২০২১
ফরিদপুর কৈজুরী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল বিক্রির অভিযোগ

ক্রাইম রির্পোটার॥ ফরিদপুর সদর উপজেলার ১০নং কৈজুরী ইউনিয়নের ঈদ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার জিজিএফের ১২ বস্তা চাল বিক্রিয় করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে।

অনুসন্ধানকালে জানা যায়, কৈজুরী ইউনিয়নের  ৩ হাজার ৬৪টি পরিবারের জন্য বিশেষ ভিজিএফ বরাদ্দ দেয়া হয়। কৈজুরী ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার ইফতেখার মোহাম্মদ ইকু মিয়া সাড়ে ২৮ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করেন। গত ১৭ ও ১৮ জুলাই তারিখে চাল বিতরণ শুরু করা হয়। প্রত্যেক দরিদ্রকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে ০৮ থেকে ০৯ কেজি করে। কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদ যেন অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সরকারের দেয়া বরাদ্দ চুরি করে ওই পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব ও কতিপয় মেম্বর মিলেমিশে পকেট ভারি করছেন মর্মে সুত্রটি দাবী করেন। এই চক্রটির দূর্নীতি-জটিলতার কারনে বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য পরিষদে আসেন না। আর এই সুযোগে পরিষদের এই চক্রটি তাদের ইচ্ছেমতো বরাদ্দ লুটপাট করে আসছেন। ঘটনারদিন ১৮ জুলাই চাল দেওয়া শেষে ৫০ কেজির ১২ বস্তা ভিজিএফের চাল অবশিষ্ট থেকে যায়। ওই ১২ বস্তা ভিজিএফের চাল বিতরণ না করে ঘটনারদিন রবিবার ইউপি চেয়ারম্যান ইকু মিয়ার নির্দেশে সচিব উত্তম কুমার ১৪ শ টাকা দর হিসেবে ১২ বস্তা চাল ১৬ হাজার ৮ শত টাকা বিক্রয় করেন বলে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক ইউপি সদস্য জানায়। ভিজিএফের চাল চুরির ঘটনাটি গত প্রহেলা আগষ্ট রোজ রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয় বলে একজন ইউপি সদস্য নিশ্চিত করেন।

 এ বিষয়ে ইউপি সচিব উত্তম কুমার এ প্রতিবেদককে বলেন- চাল অবশিষ্ট ছিলনা, কোন প্রকার চাল বিক্রয় করা হয় নাই। চাল বিক্রিয়ের ঘটনা নিয়ে হায়দার মেম্বরের মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, চাল দেওয়ার দিন তিনি ছিলেন না, তাই চাল বিক্রির ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে এ প্রতিনিধিকে তিনি জানান।

চাল বিক্রয়ের বিষয়ে ওই ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার কামরুজ্জামান বলেন- যতটুকুন চাল অবশিষ্ট ছিল সেটা গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছিল, সন্ধা পর্যন্ত আমি ছিলাম না, আমি থাকাকালিন সময়ে কোন অনিয়ম হয়নী বলে তিনি দাবী করেন।

ভিজিএফের অবশিষ্ট ১২ বস্তা চাল বিক্রয়ের বিষষে চেয়ারম্যান ইকু মিয়ার মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, তিনি বলেন- কোন চাল অবশিষ্ট ছিলনা, আমার বিপক্ষে ইদানিং একটি গ্রুপ উঠেপড়ে লেগেছে, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা সাংবাদিকদের নিকট সরবরাহ করছে, যার কোন ভিত্তী বা সত্যতা নেই।

Comments

comments