আজ : বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উৎকোচের বিনিময়ে গুচ্ছগ্রামের ঘর প্রদান! ফরিদপুরের কৈজুরী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৪:০৮ অপরাহ্ণ ,২৪ জুলাই, ২০২১ | আপডেট: ৪:১১ পূর্বাহ্ণ ,২৮ জুলাই, ২০২১
উৎকোচের বিনিময়ে গুচ্ছগ্রামের ঘর প্রদান! ফরিদপুরের কৈজুরী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

মোঃ আলমাস আলী॥  ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কৈজুরী ইউপি চেয়ারম্যান ও কথিত প্যানেল চেয়ারম্যান হায়দার শেখের বিরুদ্ধে তুলাগ্রাম লম্বাডাঙ্গী গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে ঘর দেয়ার নামে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুধু তাই নয়, তাদের কথামতো উৎকোচের সম্পূর্ণ টাকা দিতে না পারায় সুবিধাভোগীকে নির্যাতনসহ বরাদ্ধকৃত ঘর ফেরত নেওয়া হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যে হায়দারের নানাবিধ অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে ০৮ ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগও দিয়েছেন। কিন্ত অভিযোগের তদন্ত রির্পোট এখনো আলোর মূখ দেখেন নাই বলে জানা যায়।

গত ১৫ জুলাই সরেজমিনে, তুলাগ্রাম লম্বাডাঙ্গী গুচ্ছগ্রামে গেলে স্থানীয় ভূমিহীন লোকজন হায়দার মেম্বরের নামে অর্থ গ্রহনের অভিযোগ তুলেন। গুচ্ছগ্রামের সুবিধাভোগী দেলযান বেগম বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর মেয়ে-জামাই নিয়ে অসহায় হয়ে ভূমিহীন অবস্থায় মানুষের বাড়িতে থাকেন তিনি। গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর পাওয়ার জন্য স্থানীয় হায়দার মেম্বরের পিছনে পিছনে বহুদিন ঘুরাঘুরি করেছেন। পরে তিনি সারাদিন ভিক্ষা করে জোগানো নয় হাজার টাকা হায়দার মেম্বরের কাছে তুলে দেন। হায়দার মেম্বর সুবিধাভোগী সাজি বেগমের থাকার ঘরটি দেলযান বেগমের মেয়েকে হস্তান্তর করেছেন, এমনটাই জানান হতদরিদ্র ভূমিহীন দেলযান বেগম। তুলাগ্রাম লম্বাডাঙ্গী গুচ্ছগ্রামে সম্প্রতি ১১টি ঘর টাকার বিনিময়ে হায়দার মেম্বর বিক্রয় করেছেন মর্মে স্থানীয় লোকজন জানান। এখানে যারা হায়দার মেম্বরকে টাকা দিতে পারছে তারাই ঘর পাচ্ছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বরের চাহিদা মতোবেক উৎকোচ দিতে না পারায় অনেক  ভূমিহীনদেরকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়নি।

এলাকাবাসী জানায়, কৈজুরী ইউনিয়নে গৃহায়ন ও পূনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিঘর থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে নিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের এই চক্রটি। সম্প্রতি, কৈজুরী ইউনিয়ন তুলাগ্রাম লম্বাডাঙ্গী গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ১১টি ঘর থেকে নয় থেকে দশ হাজার টাকা করে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করার নজির রয়েছে হায়দার মেম্বরের বিরুদ্ধে।

Comments

comments