গোয়ালন্দে নকশাবহির্ভূত বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ
প্রকাশিত: ৫:০৯ অপরাহ্ণ ,২৩ জুলাই, ২০২১ | আপডেট: ৩:৪৩ পূর্বাহ্ণ ,২৮ জুলাই, ২০২১
মোঃ আলমাস আলী॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় নকশা বর্হিভুত অনুমোদনহীন ভাবে বহুতল ভবনের সংখ্যা বেড়েই চলছে। দফায় দফায় নোটিশ দিয়েও এ ধরনের ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অধিকাংশ ভবন মালিক নকসার অনুমোদন নিয়ে তাদের ইচ্ছামতো ভবনের উচ্চতা ও তলা বৃদ্ধি করছেন। কেউবা ভূমির শ্রেনী পরিবর্তন না করে ও সরু রাস্তা নকসায় প্রশস্ত দেখিয়ে অনুমোদন নিয়ে চারপাশে জায়গা না রেখে প্রতিবেশীদের ক্ষতিগ্রস্থ করে বহুতল ভবণ নির্মাণ করছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলার ৪নং ওর্য়াড গালর্স স্কুলের পাশের এলাকায় আইন অমান্য করে এমনই একটি ভবন নিার্মণ নিয়ে প্রতিবেশীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। গোয়ালন্দ পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় কোন কোন ভবনের মালিক দুই/তিন তলার অনুমোদন নিয়ে পাঁচ/ছয়তলা করেছেন। কেউ ভবন নির্মানের সময় কোন জায়গা ছাড় দেননি। গালর্স স্কুলপাড়া এলাকার বেশ কয়েকজন স্থানীয় ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সীমানা দেয়াল থেকে ৪ ফুট ছাড় দিয়ে ভবন নির্মাণ করেছি, কিন্ত শফি মুন্সী (নুরু মন্ডলের ম্যানেজার) নামে হঠাৎ বড় লোক হওয়া এক ব্যাক্তি চারপাশে কোনরুপ জায়গা ছাড় না দিয়েই তিনি বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। এছাড়া তিনি যে প্লটে বা জমিতে ভবন নিমার্ণ করছেন সেখানে প্রবেশের পর্যাপ্ত রাস্তা নেই। সামান্য ফাঁকা জায়গা দিয়ে সেখানে যেতে হয়। কিন্ত নকসায় ১০ ফুটেরও বেশি প্রশস্তের রাস্তা দেখিয়ে এবং বিএস খতিয়ানে ভূমিটি পুকুর শ্রেনীভূক্ত হলেও শ্রেনী পরিবর্তন না করে তথ্য গোপন রেখে পৌরসভায় কাগজপত্র দাখিল করে সেখানে ৫তলা ভবন নির্মাণের নকসার অনুমোদন নেয়া হয়েছে বলে সুত্রটি জানায়। পরবর্তীতে তিনি নানাভাবে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে নকসার অনুমোদনের ছাড়পত্রের শর্তাবলী আমলে না নিয়ে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করছেন। তিনি ইমারত আইনের কোনরুপ তোয়াক্কা করছেন না। এতে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন ওই ভবনের লাগোয়া বাসিন্দা ছাড়াও গোয়ালন্দ গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থীরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নির্মাণাধীন ওই ভবন এলাকাবাসীদের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে তারা মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দাখিলের প্রস্ততি নিচ্ছেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় গুনিজনকে অবগত করানো হলেও দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থার নজির দেখা যাচ্ছে না। মৌখিক অভিযোগের ফলে এখন তারা নানাভাবে হুমকির মুখে পড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সামান্যতম জায়গাও ছাড় না দিয়ে ভবনটির সামনের পাশ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার রেহেনা পারভিনের নিকট তার মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন এবং ব্যবস্থা নিবেন বলে জানায়। স্থানীয় ৪নং ওর্য়াড কমিশনার মোঃ ফজলুল হকের সাথে কথা বলতে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নী।
অনিয়মভাবে ভবন নির্মানের বিষয়টি ভবন মালিক শফিক মুন্সীর নিকট জানতে চাইলে, জমির পরিমান ০৭শতাংশ, ভবনটি তিন তলা পর্যন্ত ছাদ করা হয়েছে, ভবনের সামনে রাস্তা চাপা তাই এমনটি দেখা যাচ্ছে বলে তিনি জানান।