আজ : শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দের তদন্ত ওসি তায়াবীরের তৎপরতায় আইন-শৃংখলার উন্নতি; পেলেন পূর্ণাঙ্গ ওসির দায়িত্ব


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ ,২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ | আপডেট: ১:১৬ পূর্বাহ্ণ ,২৯ ডিসেম্বর, ২০২০
গোয়ালন্দের তদন্ত ওসি তায়াবীরের তৎপরতায় আইন-শৃংখলার উন্নতি; পেলেন পূর্ণাঙ্গ ওসির দায়িত্ব

গোয়ালন্দ সংবাদদাতা।। মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর চলতি বছরের গত ৯ই সেপ্টেম্বর থেকে গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসেবে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত উন্নতির দিকে। ফলে, গত ৩ মাসে এসব কাজের ফলশ্রুতিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনর্চাজ (ভারপ্রাপ্ত-ওসি) হিসেবে ২৭/১২/২০২০ইং তারিখে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পেলেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর।

বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসাবে খ্যাত গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট।এখানে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম যৌনপল্লী। যেখানে ছিল অপ্রাপ্ত বয়স্কদের নিয়ে যৌন ব্যবসা, পরিবহণ দালাল, নিত্যদিন চুরি ছিনতাই আর হাত বাড়ালেই ছিল মাদকের আখড়াসহ নানা ধরনের অপরাধ।গত ৩ মাসে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে অন্তত দুই শতাধিক দালাল ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের কে গ্রেপ্তার করে, উদ্ধার করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক যৌনকর্মিদের। ফলে- মাদকের ভয়াবহতা, খুন-খারাপি, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ চাঁদাবাজির ঘটনা কমে এখন দৃশ্যপট পাল্টে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত উন্নতির দিকে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন- গোয়ালন্দঘাট থানার অফিসার ইনর্চাজ (ভারপ্রাপ্ত-ওসি) আব্দুল্লাহ্-আল-তায়াবীর।

গোয়ালন্দের তরুণ সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে বাঁচিয়ে তুলতে তিনি মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। ওসি আব্দুল্লাহ্-আল-তায়াবীরের প্রচেষ্টায় মাদকের আস্তানা হিসেবে খ্যাত দৌলতদিয়া পুড়াভিটা এলাকায় নারী মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বস্তিবোধ করছেন উপজেলার সাধারন মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতারা।

সাধারণ মানুষ বলছেন- হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে অপরাধ প্রবণ এ উপজেলার দৃশ্যপট। গা ঢাকা দিয়েছে অনেক অপরাধীরা, কেউ কেউ পেশা পাল্টে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছে। পুলিশের কৌশলী ভূমিকার কারণেই ভেঙ্গে পড়েছে অপরাধীচক্রের নেটওয়ার্ক। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

গত ৩ মাসে এসব কাজের ফলশ্রুতিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পেলেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর।

গত ৩ মাসে এসব কাজের ফলশ্রুতিতে বিবেচনা করে গত ৩ মাসে এসব কাজের ফলশ্রুতিতে বিবেচনা করে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এর নির্দেশক্রমে পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার) ২৭ ডিসেম্বর-২০ রবিবার সন্ধ্যায় স্বাক্ষরিত পত্রে (তদন্ত) পুলিশ কর্মকর্তা থেকে গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীরকে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্বে আদেশ জারি করেন।

এ আদেশ জারির পর ওই সন্ধ্যায় পূর্ণাঙ্গ রুপে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান থানার সকল কর্মকর্তাগন। শুভেচ্ছা শেষে সকল কে মিষ্টিমুখ করান তিনি।

উল্লেখ্য, আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর ২০১৯ সালের ৩১ আগষ্ট গোয়ালন্দ ঘাট থানায় (তদন্ত) পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন। ওই সময় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মো. রবিউল ইসলাম। ওসি রবিউল ইসলামকে ওই বছর ২২ নভেম্বর ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে বদলি করা হলে, তখন ওসির দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর। ২মাস ১৫দিন পর ১১ জানুয়ারী থানায় (ওসি) কর্মকর্তা হিসেবে নতুন যোগদান করেন আশিকুর রহমান পিপিএম। সে দীর্ঘ ৭ মাস দায়িত্ব পালন করার পর গত ৯ সেপ্টেম্বর তাঁকেও ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে বদলি করা হয়। এরপর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর। তিনি গোয়ালন্দ ঘাট থানার (তদন্ত) পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সততা, সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এ আদেশ জারির পর ঢাকা রেঞ্জ (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম (বার) সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা করেছেন এবং শ্রদ্ধা জানিয়েছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর। তিনি আরো বলেন- আমার এখন অরো দায়িত্ব বেড়ে গেলো। ইনশাআল্লাহ্ আমি যেন আমার সকল দায়িত্ব কর্তব্য সততা ও সুনামের সাথে পালন করতে পারি সেজন্য সকলের ভালোবাসা ও সহযোগীতা কামনা করছি। আমি যতদিন পুলিশ বাহিনীতে থাকবো জনগণের দোরগোড়ায় আইনি সেবা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করব।

Comments

comments