আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীর বসন্তপুরে বিধবার টাকা ও ভিজিডি’র চাল আত্মসাতের অভিযোগ আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ১২:১০ অপরাহ্ণ ,১৮ এপ্রিল, ২০২০ | আপডেট: ৯:১৪ অপরাহ্ণ ,১৯ এপ্রিল, ২০২০
রাজবাড়ীর বসন্তপুরে বিধবার টাকা ও ভিজিডি’র চাল আত্মসাতের অভিযোগ আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে

মোঃ আলমাস আলী॥ জেলার সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ঐ নেতার বিরুদ্ধে স্থানীয় এক বিধবার ভিজিডি কার্ডের চাল আত্মসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অনুসন্ধানকালে জানা যায়, বসন্তপুর ইউনিয়নের ৮নং ওর্য়াডের সংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ উক্ত পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিধবা ভাতা, মাতৃত্ব কালীন ভাতা, ভিজিডি কার্ড দেয়ার প্রলোভনে অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই জাহিদ।

ভূক্তভোগী বড়রুঘুনাথপুর গ্রামের মৃত জালাল মল্লিকের বিধবা স্ত্রী চায়না বেগম জনতার মেইল.কমের এ প্রতিবেদককে বলেন- আমাকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ৫/৬ মাস আগে আমার কাছ থেকে ১,৩০০ (তেরশত) টাকা নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদ।নিজের শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে তার হাতে টাকা তুলে দিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমার নামে বিধবা ভাতার কার্ড হয়নি। এখন টাকা ফেরত চাইলে আমাকে নাজেহাল করার হুমকি দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় মাতুব্বরদেরকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনী। চায়না বেগম আরো বলেন, সমপ্রতি তার নামের ভিজিডি কার্ডের ৩ মাসের ৯০ কেজি চাল ঐ চক্রটি উত্তলন করে আত্মসাত করেন।

একই গ্রামের ৮-নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী ওহাব মল্লিকের ভাইয়ের স্ত্রী নারগিছ বেগম বলেন- ওহাব মল্লিক ও জাহিদ যোগসাজসে অত্র এলাকার  মোহাম্মাদের ছেলে দেলোয়ারের নিকট থেকে ৫০০/= শত টাকা, মান্নানের স্ত্রী জোস্নার নিকট থেকে ১৫০০/= টাকাসহ আরো অনেক অসহায় ব্যাক্তিদেরকে বিভিন্ন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ওহাব মল্লিক বলেন- একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। কয়েকজন নেশাক্ষরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।

অপরদিকে, টাকা নিয়ে ভাতার কার্ড করে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে মুঠো ফোনে অভিযুক্ত জাহিদের নিকট জানতে চাইলে তিনি ৫শত টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন।

Comments

comments