চিকিৎসার নামে হত্যার অভিযোগে ভন্ড পীর ও ফকীরসহ গ্রেফতার-৩
![প্রতিবেদক](http://www.janatarmail.com/wp-content/uploads/2018/03/icon-1.png)
প্রকাশিত: ৭:১২ অপরাহ্ণ ,৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | আপডেট: ৪:১৮ অপরাহ্ণ ,৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
![চিকিৎসার নামে হত্যার অভিযোগে ভন্ড পীর ও ফকীরসহ গ্রেফতার-৩ চিকিৎসার নামে হত্যার অভিযোগে ভন্ড পীর ও ফকীরসহ গ্রেফতার-৩](https://janotarmail.com/wp-content/uploads/2020/02/rab-2.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার।। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার আউলিয়াপুরে ফকির ব্যবসার মাধ্যমে রোগীদের ভূয়া চিকিৎসার নামে কালাম মৃধা (৪২) নামের এক (রুগী) ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও পুকুরে ১০১ বার ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগে ভন্ড পীর ও ভূয়া ফকীরসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বরিশাল র্যাব-৮।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের মৃত কাষ্ণন আলী ফকিরের ছেলে মোঃ রিয়াজউদ্দিন ফকির (৪৮), মোঃ রিয়াজউদ্দিন ফকিরের স্ত্রী মোছাঃ তাসলিমা আক্তার লাকী (৪২) ও তার ছেলে মোঃ তৗহিদুর রহমান (১৮)।
৪ ফেব্রুয়ারি-২০২০ মঙ্গলবার সকাল ১১.৩০ ঘটিকার সময় বরিশাল জেলার রূপাতলী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনাসূত্রে বিস্তারিত জানাযায় যে,- গ্রেফতার হওয়া মোঃ রিয়াজউদ্দিন ফকিরের দাদা মৃত ফকির আঃ রহমান মুন্সী @ কালুসা দেওয়ান ১ম জীবনে মাদ্রাসার শিক্ষকতা করতেন এবং মুন্সী পদবী গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি ফরিদপুরের দত্তপাড়ায় মোহনসা দেওয়ানের মুরিদ হয়ে এলাকায় এসে দরগাহ/খানকাহ খোলেন। তার মূত্যুর পর আসামী কালামের চাচা সাম দেওয়ান উক্ত পীরদানী চালিয়ে যান এবং নাম দেন দেওয়ান মাজার যা বরিশালের কাউনিয়াতে অবস্থিত। সাম দেওয়ান মারা যাওয়ার পর তার ছেলে খোকন দেওয়ান পীরদানী চালু রাখেন। খোকন দেওয়ান মারা যাওয়ার পর ৪/৫ বছর ধরে বাকেরগঞ্জের আওলিয়াপুরে আসামী মোঃ রিয়াজউদ্দিন ফকির পীরদানী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। সেইসাথে ফকিরী ব্যবসাও চালিয়ে আসছিলেন। সে ফকির ব্যবসার মাধ্যমে রোগীদের ভূয়া চিকিৎসা দেয় এবং তাদের কাছ থেকে টাকা, ছাগল, গরু, চাল, মুরগী ইত্যাদি জিনিস গ্রহণ করে থাকে।
পক্ষান্তরে, মৃত কালাম মৃধা মানসিক রোগে ভুগছিলেন। কালাম মৃধার স্ত্রী গত ৩১ জানুয়ারি-২০২০ শুক্রবারে সকালে দুই দেবরকে সাথে নিয়ে রিয়াজ ফকিরের বাড়ীতে যায়।চিকিৎসার শুরুতেই রিয়াজ ফকির তাহার চাচাতো ভাই অসীম ফকির সহ ৪/৫ মিলে সকালে ও বিকালে কালাম মৃধা (রুগী) কে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও বাড়ীর পুকুরে ১০১ বার চুবায়। এতে কালাম মৃধা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মাজার সংলগ্ন একটি রুমে রাখা হয়। কালাম মৃধা সন্ধ্যায় মারা যাওয়ার পর হত্যাকারীরা তাহার লাশ বাড়ীর পাশে বাগানে ফেলে রাখে।
ঘটনার পর থেকেই মূল আসামীসহ অন্য আসামী পলাতক ছিল। এ বিষয়ে র্যাব-৮ ছায়াতদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে র্যাব-৮ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল আসামী রিয়াজউদ্দিন ফকির তার স্ত্রী ও ছেলেসহ বরিশালের রূপাতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রফতারকৃত, ৩ জনই প্রাথমিক ভাবে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আসামীদের বাকেরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।