ফরিদপুরে শিশু ধর্ষন চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী গ্রেফতার
প্রকাশিত: ৯:৩২ অপরাহ্ণ ,২১ জানুয়ারি, ২০২০ | আপডেট: ৫:৩৭ অপরাহ্ণ ,২৩ জানুয়ারি, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার।। খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে ৪ বছর বয়সি কন্যা সন্তানকে জোড় করে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত মোঃ নাজিম বিশ্বাস (৩৮) কে আটক করেছে ফরিদপুর র্যাব-৮।
র্যাব-৮, সিপিসি-২, ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসানের নেতৃত্বে ২১ জানুয়ারি-২০২০ বিকেল সারে ৫.টার দিকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার আমগ্রামের শুকুর মিয়ার ভাটার সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যাক্তি- ওই গ্রামেরই মৃত আদিল বিশ্বাসের ছেলে ও অভিযোগকারীর প্রতিবেশী।
মোঃ নাজিম বিশ্বাস (৩৮) এর বিরুদ্ধে ভিকটিমের পিতা কর্তৃক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯(৪)(খ) ধারা মোতাবেক বোয়ালমারী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে, যার মামলা নং-১৫ তারিখ ২২/০১/২০১৯।গ্রেফতারকৃত আসামীকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে
ঘটনাসূত্রে জানাযায় যে, গত ২০/০১/২০২০ ইং তারিখ ভিকটিমের পিতা র্যাব ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করে যে, তার ৪ বছর বয়সি কন্যা সন্তানকে তার প্রতিবেশী মোঃ নাজিম বিশ্বাস (৩৮) গত ০৮/০১/২০২০ তারিখ অনুমান বিকাল ৫.টার সময় খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তার ঘরের কক্ষের মধ্যে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে।ঘটনার সময় ভিকটিমের কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশী আখিরন বেগম ভিকটিমের নাম ধরে ডাকতে ডাকতে ঘরের দিকে এগিয়ে গেলে ভিকটিম কান্না করতে করতে দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে শিশুটিকে জিজ্ঞাসা করলে, ভিকটিম তার মাকে জানায়, আসামী নাজিম তাকে চকলেট ও বিস্কুট দেবার কথা বলে ঘরে ডেকে নিয়ে তাকে চর থাপ্পরসহ মারপিট করে ও হত্যা করার ভয় দেখিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করেছে।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য ভিকটিমের স্বজনেরা এলাকার স্থানীয় মাতুব্বরদের জানালে তারা আসামীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে না পারায় আসামী ভিকটিমের পরিবারকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। ভিকটিমের পরিবার নিরুপায় হয়ে ১০ জানুয়ারি-২০২০ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
উক্ত অভিযোগ প্রাপ্তির পর, ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা পায় এবং অভিযান পরিচালনা করে ২১/০১/২০২০ তারিখে অভিযুক্ত মোঃ নাজিম বিশ্বাস (৩৮) কে আটক করা হয়।
এলাকাবাসীর তথ্য মতে, সে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সেবী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।