দৌলতদিয়া ঘাটে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ
প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ ,১৯ জানুয়ারি, ২০২০ | আপডেট: ২:১১ পূর্বাহ্ণ ,২২ জানুয়ারি, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার।। জয় বাংলার শ্লোগান দিয়ে, জোড়পূর্বক পণ্যবাহী ট্রাক ঠেকিয়ে চাঁদাবাজী করাসহ হোটেল ভাংচুর ও লুটপাটের মধ্যোদিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে নতুন চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসের উত্থানের ঘটনা ঘটেছে। ঘাটে পন্যবাহি গাড়ি পারাপারে ফেরির টিকিট বুকিংকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের সময় এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে, গোয়ালন্দ ঘাট থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।
১৭ জানুয়ারি-২০২০ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬.টা হতে রাত ৮.টা পর্যন্ত দির্ঘ্য দুই ঘন্টা ধরে দৌলতদিয়া ঘাটে জোড়পূর্বক ট্রাক ঠেকিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে ৫০/৬০ জন নতুন চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা।
এ সময়, পুলিশ বক্সের পাশে অবস্থিত “শাহজালাল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট” ভাংচুর ও ক্যাশের লুটপাট করে জনসাধারনের মাঝে ভিতির সৃষ্টি করে জানান দেয় তারা।পরে, পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে আসলে চাঁদাবাজরা ‘জয় বাংলা’র শ্লোগান দিতে থাকে। পরে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
“জয় বাংলা” শ্লোগান দিয়ে ট্রাকে চাঁদাবাজী করা এবং হোটেল ভাংচুর করায় উপস্থিত পুলিশ ও সাধারন মানুষের মধ্যে দুই ঘন্টাব্যপী আতঙ্কের সৃষ্ট হয়েছিল। জানাযায়, এই নতুন চাঁদাবাজরা রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বিরোধী চক্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে পারাপারকারী বিভিন্ন পন্যবাহি ট্রাকের ফেরির টিকিট বুকিং গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডলের লোকজন নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। শুক্রবার সন্ধ্যার পর ওই সকল পন্যবাহি ট্রাকের ফেরির টিকিট বুকিং করতে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডলসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আসামী করে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে উভয় পক্ষ।