আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শালিকার ছবি-নাম ব্যবহার করে ইমুতে আপত্তিকর ভিডিও প্রচার;দুলাভাই আটক


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ১২:১১ অপরাহ্ণ ,৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ৫:১১ অপরাহ্ণ ,৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯
শালিকার ছবি-নাম ব্যবহার করে ইমুতে আপত্তিকর ভিডিও প্রচার;দুলাভাই আটক

স্টাফ রিপোপর্টার।। কিশোরী শালিকার  ছবি ও নাম ব্যবহার করে ভূয়া ইমু আইডি খুলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রচার করার অভিযোগে ওই কিশোরীর দুলাভাই মোঃ সজিব সিকদার (২৩) নামে এক যুবককে আটক করেছে পটুয়াখালী র‌্যাব-৮।

এসময় অভিযুক্তের মোবাইল হতে ভিকটিমের নামে ভূয়া ইমু আইডি ও বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল ও আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও জব্দ করা হয়।

আটককৃত মোঃ সজিব সিকদার ওই কিশোরীর আপন দুলাভাই। সে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামের মোঃ মন্টু সিকদারের ছেলে।

তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায়- র‌্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে ২৯ ডিসেম্বর-১৯ রোবিবার দিনগত রাত ১.টার দিকে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানাধীন রজপাড়া গ্রাম এলাকায় তাকে আটক করে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, অভিযুক্ত মোঃ সজিব সিকদার ভিকটিমের বড় বোনের স্বামী। আত্বীয়তার সুবাদে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল সীম দিয়ে সুকৌশলে ভিকটিমের ছবি ও নাম ব্যবহার করে ভূয়া ইমু আইডি খুলে বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল ও আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রচার করে। এছাড়া ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল সিম নম্বরটি ইমু আইডিতে ছড়িয়ে দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট কুপ্রস্তাব পাঠাতে থাকে। বিভিন্ন অপরিচিত ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিগন উক্ত মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে ভিকটিমকে প্রতিনিয়ত কুপ্রস্তাব দিতে থাকলে, ভিকটিম ও তার পরিবার আইনগত সহায়তার নিমিত্তে কলাপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। কলাপাড়া থানার জিডি নং ৯৯৮, তারিখঃ ২৬-৬-২০১৯খ্রিঃ)। এছাড়া অভিযুক্ত আসামীকে সনাক্তপূর্বক গ্রেফতারের নিমিত্তে আইনগত প্রতিকার চেয়ে র‌র‌্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। তদপ্রেক্ষিতে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমের আপন দুলা ভাই অভিযুক্ত মোঃ সজিব সিকদারকে সনাক্ত করে এবং নিজ বাড়ী হতে তাকে আটক করা হয়।

এসংক্রান্তে ভিকটিমে মা বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আটককৃত আসামীকে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Comments

comments