আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ বান্ধব সরকার-বলেন রাজবাড়ী ডিসি


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৪:৩০ অপরাহ্ণ ,১ মে, ২০১৮ | আপডেট: ৪:৪০ অপরাহ্ণ ,১ মে, ২০১৮
শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ বান্ধব সরকার-বলেন রাজবাড়ী ডিসি

নিজস্ব তিনিধি ।। এই সরকার কৃষক ও শ্রমিক বান্ধব সরকার, এই সরকার হচ্ছে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ বান্ধব সরকার । অতএব একটা কথা আপনাদের মনে রাখতে হবে যে, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষনই আপনাদের কথা ভাবেন । মহান মে দিবসে অনুষ্ঠিত পথসভার সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী এ কথা বলেন।
মহান মে দিবস উপলক্ষে ১লা মে-১৮ শনিবার সকাল সাড়ে ৮.টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের র্কালয়ের আম্রকানন চত্বর থেকে অন্তত ২/৩ হাজার লোকের অংশগ্রহনে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় আম্রকানন চত্বরে এসে শেষ হয় এবং সেখানে পথ সভায় মিলিত হয় । বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করে । আবার, ফরিদপুর র‌্যাব-৮ বাহিনীসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও দ্বায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে ।
পথসভায় জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহাম্মদ আলী চৌধুরী, রাজবাড়ী পুলিশ সুপার প্রতিনিধি সিনিয়র এ.এস.পি আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ও বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পিন্টু ভাই ও রিক্সা শ্রমিক, হেটেল শ্রমিক, নির্মান শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন-ফেডারেশনের নেতাবৃন্দ প্রমূখ ।

জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী এ সময় আরো বলেন, বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ হলো শ্রমিক, কর্মচারী ও কৃষক । যার কারনে এই মে দিবসটি বাংলাদেশের জন্য বেশি কার্য্যকরি । আজ এখানে যারা হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ভাইয়েরা উপস্থিত হয়ে র‌্যালীতে অংশগ্রহন করেছেন, এটি সাধারনত বিরল । আমরা অন্য কোন র‌্যালীতে এত লোকজন পাইনাই । আজ আপনাদের স্বতস্ফূর্ত দেখে এই জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ।
আজ আমরা মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উত্তরিত হয়ে উন্নত দেশে পরিনত হতে যাচ্ছি । আমাদের টার্গেট হলো ২০২১ সালের মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হওয়া, আর ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিনত হওয়া । আজকে এই উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হওয়ায় কার অবদান বেশি ? এটা শ্রমিকদের অবদান । কারন, আমাদের ইনকামের যে প্রধান দু’টি খাত- তার একটি হচ্ছে তৈরি পোষাক অন্যটি বিদেশী প্রায় ১কোটি শ্রমিক ভাইদের পাঠানো টাকার রেমিটেন্সের আয় থেকে । এই দু’টি খাত হচ্ছে আমাদের জাতীয় অর্থনৈতিক প্রধান দিক । এই খাতগুলোতে কারা কনভিভিট করতেছে ? শ্রমিক ভাইয়েরা কনভিভিট করতেছে । তারা টাকা ইনকাম করতেছে এতে দেশের টোটাল উৎপাদন বাড়ছে, টোটাল উৎপাদন বাড়ার ফলে আমাদের জনপ্রতি যে বার্ষিক আয় সেটাও বাড়তেছে । এই মূহুর্তে আমাদের মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১৭৫০ ডলার ।
জেলা প্রশাসক বলেন, ৯ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতা গ্রহন করেছিল তখন জনপ্রতি যে বার্ষিক আয় ছিল ৪৫০ ডলার, আর এখন ১৭৫০ ডলার । একটু চিন্তা করে দেখেছেন কখনও ? ৯ বছরে দেশকে কোথায় থেকে কোথায় নিয়ে গেছে ! ৯ বছর আগে যে শ্রমিক ভাইয়েরা যে মুজুরী পেতেন এখন তার চাইতে অনেক বেশী পাচ্ছেন আপনারা । সে কারনে এখন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল । দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল হলে কি হয় ? আমি ভাল থাকব, আপনি ভাল থাকবেন, আমরা দেশের সকলেই ভাল থাকব । শ্রমের মর্যাদা শ্রেনী বিন্যাস অনুযায়ী আপনার ন্যায্য মুজুরিটা পাবেন, এতে আপনার ফ্যামিলিটা নিয়ে ভালভাবে চলে যেতে পাবেন ।
আজকে আমাদের এইযে টার্গেট ২০২১ সালের মধ্যম আয়ের দেশ হওয়া আর ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়া । এর জন্য কিন্ত সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, কেউ কিন্তু বসে থাকলে চলবেনা । আমার বোনেরা যদি এই তৈরি পোষাক গার্মেন্টসে কাজ না করত তাহলে কি আমাদের এই পর্যন্ত এগোনো সম্ভব হতো ? কখনই সম্ভব হতোনা । কাজেই আজকের এই দিনে আপনাদের কাছে নিবেদন যে, যে যেখানেই কাজ করছেন সে সেখানে শৃঙ্খলা রক্ষা করে কাজ করবেন ।
তিনি আরো বলেন, আজকে দেখেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই সরকারী কর্মচারীদের একটু বেতন-ভাতা বাড়ান, তখনই কিন্তু শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর জন্য মূজুরী কমিশন গঠন করেন । যখন সরকারী কর্মচরীরা তাদের নির্ধারিত বেতন-ভাতা পান তখনই আপনাদের বিভিন্ন ইন্ডাষ্ট্রিজে কর্মরত শ্রমিকরা সেই মুজুরী কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী বর্ধিত বেতন-ভাতা পান । অর্থাৎ সরকারী সরকারী কর্মচরীরা যেদিন থেকে পেয়েছে বকেয়া হিসেবে শ্রমিক ভাইয়েরাও কিন্তু সেদিন থেকেই পান ।
এই সরকার কৃষক ও শ্রমিক বান্ধব সরকার, এই সরকার হচ্ছে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ বান্ধব সরকার । অতএব একটা কথা আপনাদের মনে রাখতে হবে যে, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষনই আপনাদের কথা ভাবেন ।

Comments

comments