আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাক পারাপারে এখনো চাঁদাবাজী চলছে দৌলতদিয়া ঘাটে


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৮:১৯ অপরাহ্ণ ,২০ নভেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ১০:২৯ অপরাহ্ণ ,২১ নভেম্বর, ২০১৯
ট্রাক পারাপারে এখনো চাঁদাবাজী চলছে দৌলতদিয়া ঘাটে

সোহাগ মিয়া-গোয়ালন্দ সংবাদদাতা।। দৌলতদিয়া ঘাটে  ট্রাক পারাপারে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। স্থানীয় রাজনীতিতে পরিবর্তন ও জনপ্রতিনিধি’র পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা দালাল চক্র দ্বারা এখনো চলছে চাঁদাবাজি।
২০ নভেম্বর-১৯ বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল এ দাবি করেন।

তিনি বলেন- দীর্ঘদিন ধরে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে নদী পারাপার হওয়া পন্যবাহি ট্রাকের থেকে অতিরিক্ত ২৪০ টাকা আদায় করা হয়ে থাকে। এই চাঁদাবাজি এখনো অব্যাহত আছে। তবে ২৪০ টাকার স্থলে ২০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ ভাবে প্রতিদিন এখান থেকে এক থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। ইতিপূর্বে যারা চাঁদা আদায় করত এখনো তারাই এই অবৈধ কাজের সাথে যুক্ত। এছাড়া এ অবৈধ চাঁদা আদায় নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে দু’টি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। যে কোন সময় দু’গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসদুজ্জামান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুজ্জামান মিয়া, ছোটভাকলা ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকির,দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি আজু শিকদার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, দৌলতদিয়া ঘাটে  ট্রাক পারাপারে চাঁদাবাজি চলছে এ বিষয়ে  অনুসন্ধান করতে গত ২২শে অক্টোবর-১৯ সকালের দিকে একটি ফেরিতে উঠে ৩/৪ জন ট্রাক ড্রাইভারের সাথে কথা হলে তারা জনতার মেইলককে জানান- ভাই দয়া আমাদের নাম প্রকাশ কইরেননা, গোয়ালন্দ ওয়েটস্কেলে ৭৫ টাকার স্থলে ১০০ টাকা দিতে হয়। ফেরি পারাপারের কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকেট দেয়না, টিকেট কাটতে হয় দালালের মাধ্যমে, ১০৬০ টাকার স্থলে ১৭০০ থেকে ২০০০ টাকা দিতে হয় দালালের হাতে। আমার কাছে টাকা ছিলনা বলে আমি আজ ১৫ টাকা দিয়েছিলাম, সেকারনে আমার গাড়ি ছেড়ে দিয়ে আমাকে আটকে রেখে বিকাশের মাধ্যমে টাকা এনে আরো ১০০০ টাকা দিতে হয়েছে, সর্বমোট ২৫০০ টাকা দিয়েছি। এসময় প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন-নিয়মিত এই দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হতে হয়, প্রশাসন থাকলেও কিছু করার নাই।

Comments

comments