আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীর বহরপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষনের ৭ মাস পার ঘটনা ফাঁস; ধর্ষক পলাতক


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ ,২ অক্টোবর, ২০১৯ | আপডেট: ১০:৪০ অপরাহ্ণ ,২ অক্টোবর, ২০১৯
রাজবাড়ীর বহরপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষনের ৭ মাস পার ঘটনা ফাঁস; ধর্ষক পলাতক

নিজস্ব প্রতিনিধি।। রাজবাড়ীর বহরপুরে ৩ সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রী ধর্ষনের শিকার হয়ে সে এখন ৭ মাসের অন্তঃসত্তা। রাজবাড়ী জেলা সদরেরর বহরপুর ইউনিয়নের ডহর পাচুরিয়া গ্রামের ৩ সন্তানের জনক মুদি দোকানদার লম্পট নুরু মোল্লা (৩৫) কতৃক এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় ও চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।

এর জের ধরে ওই নারী ২৪/৯/২০১৯ইং তরিখে রাজবাড়ীর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে অভিুক্ত আসামী নুরু মোল্লা (৩৫) পলাতক রয়েছেন। জানাগেছে, লম্পট ধর্ষকের পেছনে রয়েছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা, আর ধর্ষিতা হতদরিদ্র অসহায় বলে কেউ নেই তার পাশে।

গত ২৯/৯/২০১৯ ইং তারিখ রবিবার বিকালে সরজমিনে জানাযায়- রাজবাড়ী জেলা সদরেরর বহরপুর ইউনিয়নের ডহর পাচুরিয়া গ্রামে ধর্ষক ও ধর্ষিতার পাশা-পাশি বাড়ি। ধর্ষিতার স্বামী ১৯ মাস যাবৎ মালেশিয়া থাকে।আর নুরু মোল্লা একজন মুদি দোকানদার। সে বাড়ির উপরেই তার দোকান রয়েছে। প্রবাসীর স্ত্রীর স্বামী মালেশিয়া থাকার কারনে সে নিজেই প্রায় প্রতিদিনই বাড়ির পাশে থাকা সেই নুরুর দোকানে জিনিস পত্র কিনতে যান। ওই দোকানে নিয়মিত যাতায়াত করায় প্রায় মাঝে মধ্যেই দোকানদার তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। এভাবে চলতে চলতে প্রায় সাত মাস আগে দোকানে তেল, লবন ও বিস্কুট কিনতে গেলে বাড়িতে কেউ না থাকায় দোকানদার নুরু হঠাৎ একদিন দিন-দুপুরে তাকে (প্রবাসীর স্ত্রীকে) কথা বলার কথা বলে ঘড়ে ডেকে নিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে। পরে ভয়ভিতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। মান-সন্মানের ভয়ে ওই নারী এতদিন বিষয়টি কাউকে জানায়নি। আস্তে আস্তে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনার ৭ মাস পর রাজবাড়ীতে এক ডাক্তারকে দেখিয়ে ‘পদ্মা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে’ পরিক্ষা নিরিক্ষা করে জানাযায় প্রবাসীর স্ত্রী ওই নারী ৭ মাসের গর্ভবতী। ঘটনাটি এভাবে জানাজানি হওয়ায় দোকানদার নুরু পলাতক রয়েছে। আরেকদিকে ওই নারীর স্বামী এখন তার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাচ্ছে। এঘটনায় দিশেহারা ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে রাজবাড়ী আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সে এখন কুলহারা হবার ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

ঘটনা তদন্তে দেখা গেছে- সে সহজ-সরল ও আলবোলা ধরনের নারী, ভালভাবে গুছিয়ে কথাও বলতে পারেনা।

        

এ ঘটনায়- প্রবাসির স্ত্রী ওই ধর্ষিতা জনতার মেইলকে জানান-আমারস্বামী প্রায় ১৯ হলো মালেশিয়া থাকে। বাড়ির পাশে থাকা নুরুর দোকানে প্রতিদিনই সদাই আনতে যাই। ঘটনার দিন দুপুরের দিক ওই দোকানে বিস্কুট আনতে গেলে সে বিস্কুট দেয়ার পরে তার ঘড়ে ডেকে নিয়ে আমাকে মূখ আটকে ধরে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষন করার পর সে আমাকে ভয়ভিতি দেখিয়ে বলে বিষয়টি কাউকে জানালে তোর সংসার ধ্বংস হয়ে যাবে, তোর মান-সন্মান শেষ হয়ে যাবে, আমি পুরুষ মানুষ আমার কিছুই হবেনা। তোর স্বামি তোকে ছেড়ে দেবে, তোর বাবা গরিব মানুষ সে  তোকে ভাত-কাপড় দিতে পারবেনা। পথে পথে ঘুড়তে হবে। যা হবার হয়ে গেছে এটা মন থেকে মুছে ফেল। তা-না হলে আমি তোকে মেরে ফেলবো।

এ কথা বলার পর চিন্তা-ভাবনা করে ভয়ে আমি আর কাউকে জানাইনি। আমার ৩ টি সন্তান রয়েছে, ওদের নিয়ে আমি কোথায় যাব ?এর আগেও ২ দিন চেষ্টা করেছিল। আমি কাউকে বলি নাই। আজ পর্যন্ত ১৯ মাস ধরে আমার স্বামী জয়নাল মালেশিয়া থাকে। এ ঘটনায়, স্বামী জয়নাল গালমন্দ করছে। আমাকে রাখতে চাচ্ছে না। পরে আমি নুরুকে বিয়ে করতে বলি। সে বিয়ে না করায় এ ঘটনার বিচার পেতে আমি কোর্টে মামলা করেছি। প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে ওই নারী বলেন- আমার কোন ইচ্ছাই ছিলনা, সে আমাকে জোড়পূর্ব করেছে। যদি আমি এর বিচার না পাই তাহলে এখন আমার মরা ছাড়া উপায়নাই।

এ ঘটনায়, দোকানদার নুরুর স্ত্রী সালমা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন- আমার স্বামী বাড়িতে নেই, আমার স্বামি ভাল লোক, ওই মহিলা আমার স্বামীর নামে মিথ্যা কথা বলেছে। মিথ্যে মামলা করেছে।

এ ঘটনায়, ওই ধর্ষিতা নারীকে হুমকি ধামকি দেওয়া ওই গ্রামের মাতব্বর সাহেব নুরুর আত্নিয় সেমেজ সেখ বলেন- আমি সমাজের মাতবর, এ বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করেছি বলে আমার নামেও ৭ ধারা মামলা করেছে। আমি ২-নং আসামী ওরা ভাল লোক না।

ওই এলাকার এক প্রতিবাদি নারী বলেন- এ ঘটনা সত্যি, ওই দোকানদার নুরুর চরিত্র ভালনা। আর যেন এ ধরনের ঘটনার পূনরাবৃত্তি না হয় সে কারনে সঠিক বিচারের মাধম্যে নুরুর স্বাস্তি হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।

Comments

comments