আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড্রেজার দিয়ে বালি কাটার কারনে রাজবাড়ীতে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে! হুমকিতে শহর রক্ষা বাধ


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ণ ,২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ ,২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
ড্রেজার দিয়ে বালি কাটার কারনে রাজবাড়ীতে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে! হুমকিতে শহর রক্ষা বাধ

স্টফ রিপোর্টার।। হঠাৎ করেই রাজবাড়তে পদ্মা নদী ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় রাজবাড়ীর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’ দোষারপ করলেন- বিআইডব্লিউটিএ’র কতৃপক্ষকে আর সাধারন মানুষ দুষলেন বালু ব্যবসায়ীদের।পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে নৌ-রুট তৈরীতে নদী খননে বিআইডব্লিউটিএ’র ভুল ড্রজিংয়ের কারনে এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আর, সাধারন মানুষ অভিযোগ করে বলছেন-নদী থেকে ব্যাবসায়ীরা বালি উত্তলোনের কারনেই এই নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

গত শনিবার মধ্যো রাত হতে হঠাৎ করেই রাজবাড়ী শহরের গোদার বাজার এলাকায় তীব্র নদী ভাঙ্গনে ব্যবসায়ী গোলাম মস্তফার ইট ভাটার জায়গা-জমি ও হাজার হাজার ইট চলে গেছে নদীগর্ভে। খবর পেয়ে এরই মধ্যে অসময়ে বালির বস্তা ফেলে নদী ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজবাড়ী পান্নি উন্নয়ন বোর্ড।এরই মধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অন্তত তিন’শ মিটার এলাকা। হুমকিতে রয়েছে নদী পারের বসতবাড়ি, শহর রক্ষা বাধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কৃষি জমিসহ বহু স্থাপনা।

এ বিষয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর-১৯ সোমবার বিকেল ৫.টার দিকে গোদার বাজার এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়,সেখানে একের পর এক বড় বড় মাটির চাপ ভেঙ্গে পরছে নদীর মধ্যে। সেই ভাঙ্গন দেখতে ভীর করছে উৎসুক জনতা। আরেকদিকে, এ ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ দেখা দেখা গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের।

                             

রাজবাড়ী পান্নি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জনতার মেইল কে বলেন- ভাঙ্গনের খবর পেয়ে রোববার দুপুরে আমাদের স্যার এসে দেখেগেছে এবং জরুরী বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানোর কথা বলেছে।সে কারনে, আজ সকাল থেকে (৫.টা) এ পর্যন্ত ২০০ (বস্তা) জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। এ কাজ অব্যাহত থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- এ কাজে ৬শ মিটারের এড়িয়ায় ১ লাখ ৩৩ হাজার জিও ব্যাগ নির্ধারন অছে।গত এক সপ্তাহ আগে ৬৬ হাজার বস্তা ফেলানো বিজে জিও টেক্সটাইল লিঃ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে এ কাজ করছে কুমিল্ল-৮ আসনের এমপি নজরুরর ইসলাম। ২০কোটি টাকার এ কাজের টেন্ডারে ঠিকাদার কতৃক সাবমিট হয় ১৮কোটি টাকা। প্রতিটি জিও ব্যাগ সরকারী বাজেট ৪৪৬ টাকা।

এ সময় তিনি আরো বলেন- বিআইডব্লিউটিএ’র ভুল ড্রজিংয়ের কারনে এ ভাঙ্গন শুরু হয়। নদী গভিরের জন্য রাজবাড়ীর পাড়ের দিকে ড্রেজিংয়ে কারনে সিসি ব্লকের নিচ থেকে বালি সরে যাওয়ায় নদী ভাঙ্গছে। আরেকদিকে, ড্রেজার দ্বারা কাটা বালিগুলো পাবনার পাশে ফেলার কারনে (রাজবাড়ীর পাশে) এপাড় ভাংছে।

ভাটার সহকারী পরিচালক আল আমিন মোস্তফা বলেন, হঠাৎ করে নদী ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় আমরা দিশে হারা হয়ে পরেছি। এরই মধ্যে আমাদের অন্তত ১৫ হাজার ইট নদীতে চলে গেছে। যেস্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে আর মাত্র ৫০ থেকে ৬০ গজ এলাকা ভাঙ্গলেই শহর রক্ষা বাধ ভেঙ্গে যাবে। এখনই ব্যবস্থা গ্রহন না করলে ভয়ঙ্কর অবস্থার রুপ নিবে। প্লাবিত হয়ে যাবে রাজবাড়ী শহর।

নদীর পারে বসবাসরত প্রত্যক্ষদর্শিরা বলেন, নদীর শো শো শব্দে আমরা দুই দিন যাবৎ ঘুমাতে পারি না। কখন যেন আমাদের শেষ সম্বল বসত ভিটাটুকু নদী গর্ভে চলে যায়। তবে, নদী থেকে বালি উত্তলোনের কারনেই এই নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে তিনি বালি উত্তলোন বন্ধের দাবি জানান।

এ সময় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন- এই এলাকায় ভাঙ্গন রোধে সিসি ব্লকের কাজ হয়েছিলো, কিন্তু কাজে অনিয়ম হওয়ায় আবারও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

Comments

comments