আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আবুল ও তার ছেলেদের অত্যাচারে অতিষ্ট ব্যাবসায়ীরা;দেখছেনা কেউ


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ণ ,২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ ,২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আবুল ও তার ছেলেদের অত্যাচারে অতিষ্ট ব্যাবসায়ীরা;দেখছেনা কেউ

বিশেষ প্রতিনিধি-ঢাকা।। মৌচাক এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আবুল হোসেন ও তার দুই ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে ফরচুন ও মৌচাক মার্কেটের দোকান মালিক ও সাধারণ ব্যাবসায়ীরা। আবুল হোসেন- আওয়ামী প্রচার লীগ নামে একটা ভুয়া সংগঠন খুলে নিজেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পরিচয়ে প্রতিষ্ঠা করেন সৈনিক ক্লাব। ক্লাবে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে জুয়া খেলা। শুধু তাই নয় জুয়াড় পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা মাদকের ব্যাবসা। ঢাকার শহরের বিভিন্ন ক্লাবে র‌্যাব বাহিনী অভিযান চালানোর কারনে গত কাল সৈনিক ক্লাবে তেমন কোন লোকজনের চলাফেরা চোখে পড়েনি।

জানাযায়, এই আবুল হোসেন ফরচুন মার্কেটের ৮% সেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে ফরচুন মার্কেটে জায়গা করে নেন। পরবর্তীতে তার দুই ছেলেকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক শপিং মল ভবন টির ৮টি ফ্ল্যাট ২৪টি দোকান প্লেগ্রাউন্ড ফুট কোর্টসহ মোট ৮০০০ স্কয়ার ফুট জায়গা দখলে নিয়ে প্রকৃত ক্রেতাদের প্রান নাশের হুমকির মাধ্যমে উচ্ছেদ করে নিজেরা ভাড়া আদায় শুরু করে যা এখন চলমান রয়েছে।

এর পর শুরু হয় আবুল হোসেনের দুই ছেলের অত্যাচার, ফরচুন শপিং মল কেন্দ্রিক চুরি ছিনতাই মাদক ব্যবসা চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করে, যার ফলে ফরচুন শপিং মলের ভুক্তভোগী দোকান মালিক, সাধারণ ব্যাবসায়ী ও ফ্লাট মালিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে।

এই অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতে গত ৩১/১২/২০১৭ সালে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবর আবেদন করেও কোন প্রতিকারতো পায়ইনি বরং তারা উল্টো প্রতিশোধ নিতে আবুল হোসেন ও তার দুই ছেলেসহ তাঁদের সন্ত্রাসী বাহিনী দোকান মালিক সমিতির কার্যালয় ও নির্বাচিত ব্যাবসায়ী প্রতিনিধিদের জোর পুর্বক বিতাড়িত করে তাদের দোকান দখল করে নিয়ে চাঁদাবাজি অত্যাচার নিপিড়নের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

ছোট ছেলে নিবিড়কে দেয়া হয় ফরচুন শপিং মলের দায়িত্ব। ছোট ছেলে নিবিড় এর রয়েছে শিশু গ্যাং বাহিনী ব্যক্তিগত গানম্যান (দেহরক্ষী)

বড় ছেলে নিয়ন্ত্রণ করে ফরচুন মার্কেট, ফরচুন মার্কেটের সম্পুন্ন নিয়ন্ত্রন তার হাতে । বড় ছেলে বিলাসী জীবন যাপনের অধিকারী ব্যাবহার করেন নামি দামি ব্রান্ডের গাড়ি।

এভাবে ফরচুন শপিং মল ও মৌচাক মার্কেট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর আবুল হোসেন শুরু করে জুয়ার কারবার,সেজন্য প্রতিষ্ঠা করেন সৈনিক ক্লাব। জুয়ার পাশাপাশি রমরমা মাদকের ব্যাবসা,যদিও গত কাল সৈনিক ক্লাবে তেমন কোন লোকজনের চলাফেরা চোখে পড়েনি।

আবুল হোসেন আওয়ামী প্রচার লীগ নামে একটা ভুয়া সংগঠন খুলে নিজেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পরিচয় দিয়ে কমিটি দেয়ার নামে বিভিন্ন জেলা উপজেলা নগর মহানগর কমিটি অনুমোদনের নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে থাকেন। ইতিমধ্যে সরকার আওয়ামী প্রচার লীগ নামের সংগঠন টিকে কালো তালিকা ভুক্ত করেছে।

ফরচুন শপিং মলের ভুক্তভোগী ৩৭৬ জন দোকান মালিক ও সাধারণ  ব্যাবসায়ীরা গত ১৭/৭/২০১৯ বাংলাদেশের পুলিশের অপরাধ বিভাগে তাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পায় নাই।

এমতাবস্থায় ফরচুন শপিং মলের ভুক্তভোগী দোকান মালিক ও সাধারণ ব্যাবসায়ীগন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Comments

comments