আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসে রাজবাড়ী আওয়ামীলীগের কর্মসূচী


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ ,২০ আগস্ট, ২০১৯ | আপডেট: ৯:০৯ অপরাহ্ণ ,২২ আগস্ট, ২০১৯
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসে রাজবাড়ী আওয়ামীলীগের কর্মসূচী

নিজস্ব প্রতিনিধি।। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৫তম দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি এ কর্মসূচীর কথা জানিয়ে তিনি বলেন- গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ২১ আগস্ট বিকেলে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে উন্মক্ত মঞ্চে আলোচনাসভা, মিলাদ ও দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই সাথে, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসটি যথযথো মর্যাদায় পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে তাকে হত্যার উদ্দেশে ওই সমাবেশে বিএনপি-জামায়াত তথা চার দলীয় জোট সরকার রাষ্টযন্ত্র ব্যাবহার করে নৃশংসতম গ্রেনেড হামলা চালায়।

এই হামলায় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। এছাড়াও আহত হন আরো ৪০০ দলীয় নেতা-কর্মী। আহতদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। তাদের কেউ-কেউ আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি। দেশের বৃহৎ এই রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূণ্য করতে এ হামলা করা হয়েছিল।

শেখ হাসিনার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে আকস্মিক গ্রেনেড বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে মারাত্মক বিশৃংখলা, ভয়াবহ মৃত্যু ও দিনের আলো মুছে গিয়ে এক ধোয়াচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

মেয়র হানিফের মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ জনিত অস্ত্রোপাচার করার কথা থাকলেও গ্রেনেডের স্পিন্টার শরীরে থাকার কারণে তার অস্ত্রোপাচার করা সম্ভব হয়নি। পরে তিনি ব্যাংকক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে শেখ হাসিনা গ্রেনেডের আঘাত থেকে বেঁচে গেলেও তাঁর শ্রবণ শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।

এই বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় উল্লেখযোগ্য নিহতরা হলেন, আইভি রহমান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব:) মাহবুবুর রশীদ, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারি, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্ঝেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুনশী, হাসিনা মমতাজ রিনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা). মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মোহাম্মদ হানিফ, আবুল কাশেম, জাহেদ আলী, মোমেন আলী, এম শামসুদ্দিন এবং ইসাহাক মিয়া।

মারাত্মক আহতরা হলেন শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, প্রায়ত আব্দুর রাজ্জাক, প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, এডভোকেট সাহারা খাতুন, মোহাম্মদ হানিফ, এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম, নজরুল ইসলাম বাবু, আওলাদ হোসেন, সাঈদ খোকন, মাহবুবা পারভীন, এডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, নাসিমা ফেরদৌস, শাহিদা তারেক দিপ্তী, রাশেদা আখতার রুমা, হামিদা খানম মনি, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম, রুমা ইসলাম, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেইন , মামুন মল্লিক প্রমুখ।

Comments

comments