আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১২ বছর পর দৌলতদিয়ার জুলহাস গুমের ঘটনা ফাঁস!প্রশ্ন- টুটুল জানলো ক্যামনে?


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৮:০৬ অপরাহ্ণ ,৩১ জুলাই, ২০১৯ | আপডেট: ১২:২২ পূর্বাহ্ণ ,১ আগস্ট, ২০১৯
১২ বছর পর দৌলতদিয়ার জুলহাস গুমের ঘটনা ফাঁস!প্রশ্ন- টুটুল জানলো ক্যামনে?

স্টাফ রিপোর্টার।। দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম জুলহাস ব্যাপারীকে গুম ও হত্যার ঘটনায় ০৪/০৬/২০০৬ইং তারিখে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-০২, ধারাঃ ৩৬৪ । এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে থানা-হাজতে ছিল নুরুল ইসলাম মন্ডল ওরফে নুরু মন্ডল।
এই রেজাউল করিম জুলহাস ব্যাপারী গুম হওয়ার ঘটনা দির্ঘ্য একযুগ পার হলেও আজ অবধি পর্যন্ত তার লাশ পাওয়া যায়নি। তাকে কি কারনে ? কারা ? কোথায় ? কিভাবে হত্যা করেছে ? তাহাও কেউ জনেনা। তবে,কথায় আছে পাপ ছাড়েনা বাপেরে। হাবিব রেজা টুটুলের ফেসবুকে একটা পোষ্ট দেখে ইতোমধ্যে জনসাধারন মনে একটা ধারনার জন্ম হয়েছে, যে হয়তো এমন প্রবাদ বাক্য ফলতে চলেছে।

আজ প্রায় দির্ঘ একযুগ পাড় হওয়ার পর (habibreza tutul) হাবিব রেজা টুটুল নামে এক ব্যাক্তি দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম জুলহাস ব্যাপারীকে হত্যার ঘটনা বর্ননা দিয়ে তার ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করেছেন।
কারা ? কি কারনে ? কোথায় ? কিভাবে জুলহাস ব্যাপারীকে হত্যা হয়েছে ? তাহা কেউ জানেনা। কিন্তু এই হাবিব রেজা টুটুল কিভাবে জানলো ? এমনটাই প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে জনমনে।

হাবিব রেজা টুটুল পর (habibreza tutul) তিনি তার ফেসবুক আইডি তে লিখেছেন –

তার ফেসবুক আইডিতে। তার স্ট্যাটার্স দ্বারাই প্রমান হয় সে জুলহাস হত্যার সাথে জড়িত।

বিষয়টি খতিয়ে দেখে এই হাবিব রেজা টুটুলকে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন সাধারন মানুষ।

এ বিষয়ে, ২৮/৭/২০১৯ ইং তরিখ সন্ধ্যা ৭.টার দিকে হাবিব রেজা টুটুলের সাথে মুঠো ফনে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। সেই কথোপোকথন হুবহু তুলে ধরা হলো।

প্রতিবেদকঃ টুটুল ভাই, রেজাউল করিম জুলহাস হত্যার বিষয়ে আপনার ফেসবুক আডিতে লিখেছেন- ডাকাতি ও নারী ধর্ষনের কারনে জুলহাসকে সর্ববাহারার লোকজন হত্যা করেছে, প্রশ্ন হলো- এই সর্বহারার লোকজন কারা, একটু বিস্তারিত বলবেন কি ?

হাবিব রেজা টুটুলঃ এটা তো আমার শুনা গল্প। আমি তখন বিদেশে মালেশিয়া ছিলাম।

প্রতিবেদকঃ কার কাছে শুনছেন, একটু বলবেন কি ?

হাবিব রেজা টুটুলঃ আপনি আমার নাম্বার পেলেন কোথায় ? ঘাটে আইসেন সাক্ষাতে বলবনে। ঘাটে এসে ফোন দিয়েন।

প্রতিবেদকঃ ঠিক আছে, একটু বলবেন এই সর্বহারার লোকজন কারা ছিল ?

হাবিব রেজা টুটুলঃ আমি তখন মালেশিয়া ছিলাম, সেখানে থেকেই শুনছিলাম।

প্রতিবেদকঃ সর্বহারার কাদের নাম শুনছিলেন ?

হাবিব রেজা টুটুলঃ ঘাটে আসেন কথা বলবনে। আমি তখন বিদেশে মালেশিয়া ছিলাম।

প্রতিবেদকঃ সর্বহারার সদস্য মিন্টু, হালিম, সুজন তৎকালিন সময়ে ক্রসফায়ারে নিহত হয়, এটা আপনি জানেন, এই নিহতরা আপনার ঘনিষ্ঠ লোক ছিল, তারা না-কি আপনার দলের সদস্য ছিল ?

হাবিব রেজা টুটুলঃ না আমি তো ওদের চিনিইনা।

প্রতিবেদকঃ রেজাউল করিম জুলহাস হত্যার বিষয়ে আপনার ফেসবুক আইডিতে যাহা প্রকাশ করেছেন, তাতে সবাই বুঝতে পারছে যে, ঘটনার সাথে আপনার সংশ্লিষ্টতা আছে, এটা প্রশাসনও জেনে গেল, এ বিষযে আপনি কি বলবেন ?

হাবিব রেজা টুটুলঃ ভাই, আপনি ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যা করলেন, কাজটা ঠিক করেন নাই। জানলে এমনটা করতামনা। আমার সাথে একটু পরামর্শ করে করা উচিৎ ছিল, যাই হোক আপনে ঘাটে আইসেন… ।

প্রতিবেদকঃ কবে, কখন আসেবো বলেন ?

হাবিব রেজা টুটুলঃ আইসেন, আমিতো নৌকার নির্বাচন নিয়ে ব্যাস্ত আছি, ঘাটে আইসেন সাক্ষাতে কথা হবে। আগে ঘাটে আসেনতো তা-র-প-র… দেখা যাবে… ।

এখানেই শেষ নয়, কে এই হাবিব রেজা টুটুল এই প্রতিবেদককে হুমকি দিয়ে লিখেছে- ‘এবার বুঝবি কত ধানে কত চাল’ তার এক মামা না-কি তথ্য মন্ত্রনালয়ে চাকরি করেন, সেই মামাকে দিয়ে এই প্রতিবেদককে জাত করে ছাড়বেন।

কে এই হাবিব রেজা টুটুল (habibreza tutul) ? প্রথমিক তদন্তে জানাযায়, সে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১নং ব্যাপারীপাড়া উত্তর দৌলতদিয়া গ্রামে মৃত সামাদ উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে। আরো জানাযায়, সে দৌলতদিয়া নুরুল ইসলাম মন্ডল ওরফে নুরু মন্ডলের ঘনিষ্ট লোক। জুলহাস হত্যার সময় সে এলাকাতেই ছিল কিন্তু, গা ঢাকা দিয়ে ছিল। তখন এই টুটুল ছিল সর্বহারর নেতা। তৎকালিন সময়ে ক্রসফায়ারে নিহত হওয়া সর্বহারার সদস্য মিন্টু, হালিম, সুজন ছিল টুটুলের বাহিনীর  সদস্য। সে প্রশাসনের কাছে সন্ত্রাস হিসাবে পরিচিত ছিল। জুলহাস হত্যার অন্তত ৫ মাস পর সে বিদেশে চলে যায়। সেখানে ৮/৯ বছর থেকে দেশে ফিরে আসে। এরপর পিট বাচাঁতে আওয়ামীলীগে যোগদান করে। এখন সে নুরু মন্ডলের দলের সাথেই থাকে।

এই হাবিব রেজা টুটুলের আয়ের উৎস কি ? সে কি করে? এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক পরবর্তিরত প্রকাশ হবে।

Comments

comments