আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩৬ দিনআটক রেখে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করানোকালীন এক তরুনী উদ্ধার,আটক-২


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ ,২২ জুলাই, ২০১৯ | আপডেট: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ ,২৩ জুলাই, ২০১৯
৩৬ দিনআটক রেখে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করানোকালীন এক তরুনী উদ্ধার,আটক-২

গোয়ালন্দ সংবাদদাতা।। দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ৩৬ দিন আটক রেখে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করানোকালীন এক তরুনীকে উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে রোববার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেছে উদ্ধার হওয়া তরুনী। অভিযুক্ত ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের গোপলবাড়ি গ্রামের আফতাফ মন্ডলের ছেলে তোফাজ্জেল মন্ডল (৩০) ও গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সামছু মাস্টার পাড়ার হেলাল উদ্দিনের ছেলে ইমন (২০)।
উদ্ধার হওয়া তরুনী জানায়, ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার একটি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সে। ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করায় দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে বাড়িতে যাতায়াত করত। দৌলতদিয়া ঘাটে বাসে উঠায় সহযোগিতা করায় আলামিন নামের এক ছেলের সাথে তার পরিচয় হয়। আলামিন তাকে জানায় তারও গার্মেন্টসের ব্যবসা আছে। গত ১ জুন সে বাড়িতে থাকাকালে আলামিন তাকে ভালো বেতনে গামেন্টসে কাজ দেয়ার কথা বলে ঢাকায় যেতে বলে। তার কথা মত ঢাকায় গেলে আলামিন তাকে একটি বাসায় রেখে তোফাজ্জেল মন্ডলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। ওই বাসায় ১৪ দিন থাকার পর তোফাজ্জেল তাকে জানায় তার জন্য একটি ভালো চাকুরী জোগার করেছে। কি চাকরী জানতে চাইলে তোফাজ্জেল জানায় একটি বাড়ির ভাড়া তুলে মালিককে দিতে হবে। তার কথামত গত ১৪ জুন তোফাজ্জেলের সাথে সে রওনা দেয়। কিন্তু তোফাজ্জেল তাকে সরাসরি দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নিয়ে এসে ফারুকের বাড়িতে আটকে রাখে। সেখানে টানা ৩৬ দিন আসামীরা পালাক্রমে পাহাড়া দিয়ে রেখে মারপিট করে তাকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করায়। এ পরিস্থিতিতে গত ২০ জুলাই রাতে সে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে গোয়ালন্দ বাস টার্মিনালে আসে। তাকে অনুসরন করে ধরে ফেলে ইমন ও রায়হান। এসময় সে চিৎকার করলে সেখানে টহলরত পুলিশ ইমনকে গ্রেফতার ও আমাকে উদ্ধার করে। তবে পালিয়ে যায় রায়হান। পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়ায় মামলা করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলে ওই তরুনী জানায়।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফী জানান, ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী তোফাজ্জেলকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ইমনকে আটক করা হয়েছিল। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর আছে। উদ্ধার হওয়া তরুনীকে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Comments

comments