আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ী ডিবি’র তল্লাশীকালে দোকানে পাওয়া গেছে ফেন্সিডিলের বান্ডিল থেকে খোলা কসটেপ!


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ২:১৩ পূর্বাহ্ণ ,১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ | আপডেট: ১২:২৯ অপরাহ্ণ ,১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
রাজবাড়ী ডিবি’র তল্লাশীকালে দোকানে পাওয়া গেছে ফেন্সিডিলের বান্ডিল থেকে খোলা কসটেপ!

স্টাফ রিপোর্টার।। মাদক বেঁচা-কেনার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে- রাজবাড়ী জেলা শহরের বড় বাজারে ব্যাংক মোড়ের ‘পাপিন টেলিকম’ নামের একটি ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশ-নগদের দোকানে তল্লাশী চালিয়েছে ডিবি পুলিশ। তল্লাশীকালে দোকানের টেবিলের ওপর পাওয়া গেছে ফেন্সিডিলের বান্ডিল/প্যাক থেকে খোলা কসটেপ। পাওয়া যায়নি ফেন্সিডিল। দেখা গেছে ৪টি শপিং ব্যাগ ভর্তি বিপুল পরিমাণ টাকা।

বুধবার (১৪ই সেপ্টেম্বর-২২) রাত ৮.টার দিকে ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাসের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম দোকানটিতে ব্যাপক তল্লাশী চালায়।এ সময়, ফেন্সিডিল বিক্রির কথা অস্বিকার করলেও খাওয়ার কথা কথা বলেছে দোকানদার জনির স্ত্রী। আর জনি বলেছে- এ টাকাগুলো তার ব্যবসার টাকা ও তার শ্বশুর হাটের ইজারাদার ফরিদ পাটালির টাকা।  তল্লাশির পর, সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক ও ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করছেন ডিবি পুলিশ।

এ অভিযান চলাকালীন সময়ে ১০/১২ জন গণমাধ্যম কর্মি ও বাজার ব্যবসায়ি সমিতির নেতৃবৃন্দসহ ২/৩ শত উৎসুক জনতার উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিবি’কে সহযোগিতা করে রাজবাড়ী থানা পুলিশের একটি দল।

তবে, লোকেমুখে জানাযায়- মাদকদ্রব্য বেঁচা-কেনা হচ্ছে- এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ অভিযান চালায়। জনমনে ধারনা- পুলিশ পৌঁছানোর আগেই পাচার হয়ে গেছে ফেন্সিডিল, যার আলামত হিসেবে রেয়ে গেছে ফেন্সিডিল প্যাকিংয়ের কসটেপ এবং টাকাগুলো। যাহা দোকান হতে সরানোর সময় পারেনি।

এ অভিযানকে কেন্দ্র করে জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন; কেউ বলছে, ফ্লেক্সিলোড/বিকাশের দোকানে এত টাকার উৎস কি? আবার কেউ বলছে- সে যদি ফেন্সিডিল কারবারি না হয় তাহলে দোকানে ফেন্সিডিল প্যাকিংয়ের কসটেপ কেন?

অনলাইন জুয়ার সম্রাট হিসাবেও তার বেশ পরিচিতি রয়েছে বলে লোকেমুখে শোনা যায়।  অনেকের ধারনা জুয়ার টাকাও হতে পারে।  আবার অনেকের ধারনা- ব্যবসার টাকা ২/৪ লাখ বাদে, বাকি টাকাগুলো নিশ্চয়ই ফেন্সিডিল বিক্রির টাকা।

এ বিষয়ে, ডিবি সূত্রে জানা গেছে; দোকানদার জনি মাদকের কারবার করে বলে তাদের কাছে তথ্য ছিল। এ জন্যই তারা দোকানটিতে তল্লাশী চালায়। তবে দোকানটিতে মাদক পাওয়া না গেলেও দোকানে টেবিলের ওপর পাওয়া গেছে ফেন্সিডিলের বান্ডিল/প্যাক থেকে খোলা কসটেপ। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তারা জনির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক নিয়ে এসেছেন। তদন্তে অভিযোগের কোনো প্রমাণ পেলে তাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments

comments