গোয়ালন্দে প্রতিবাদী রুমানকে পিটিয়ে হত্যা করলো ইভটিজিংকারীরা
প্রকাশিত: ৭:১১ অপরাহ্ণ ,২৩ জুন, ২০১৮ | আপডেট: ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ ,২৫ জুন, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিনিধি ।। গোয়ালন্দের কাটাখালীতে ভাগ্নির ইভটিজিং ও যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় মামা সুমন ব্যাপারীর বন্ধু রুমান শেখ(২০)কে পিটিয়ে হত্যা করেছে ইভটিজিংকারীরা। এ ঘটনায় নিহতের তিন বন্ধু সুমন বেপারী, ইমন গাজী ও আকাশ খাঁনকেও পিটিয়ে আহত করেছে ইভটিজিংকারীরা।
নিহত রুমান শেখ গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চর আন্ধারমানিক গ্রামের মোঃ কালাম শেখ ওরফে কালাম মহুরীর ছেলে ও সর্বহারা পার্টির নেতা আকরামের ভাতিজা।
২৩শে জুন বিকেল ৫.টার দিকে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার কাটাখালী বাজারে এ হত্যাকান্ড ঘটে।
এ ঘটনায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুমানের বন্ধু সুমন বেপারী বলেন, বরাট ভাকলা স্কুল অ্যান্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া আমার ভাগনিকে কাটাখালী এলাকার রাসেল বখাটে ইভটিজিংসহ যৌন হয়রানি করে আসছিলো। সম্প্রতি ঘটনায় আমি রাসেলকে ফোন করে আমার ভাগনিকে যৌন হয়রানি করতে নিষেধ করি। এ সময় রাসেল আমাকে কাটাখালী বাজারে এসে সামনাসামনি কথা বলতে বলে। বিকেলে আমি আমার দুই বন্ধু ইমন ও আকাশকে সঙ্গে নিয়ে রাসেলের সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলতে কাটাখালী বাজারে আসলে, ইভটিজিংকারী রাসেলের নেতৃত্বে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী আমাদের বেধরক মারপিট করে। স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে বাজারের ডাক্তার দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এরপর আমি আমার বন্ধু রুমানকে ফোনে বিষয়টি অবগত করি, তাৎক্ষনিক রুমান মোটর সাইকেল নিয়ে কাটাখালী বাজারে আসে। এ সময় রাসেলসহ ওই যুবকরা রুমানকেও কাঠের চলা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন। হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক রুমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ নুরুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রুমানের মৃত্যু হয়। তার মাথায় পেছনের দিকে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রুমানের চাচা আকরাম শেখ বলেন, আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মীর্জা আবুল কালাম আজাদ বলে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।