ছাত্র-ছাত্রীদের মনের কথা জানতে স্কুলে স্কুলে ‘ইউএনও বক্স’ স্থাপন
![প্রতিবেদক](http://www.janatarmail.com/wp-content/uploads/2018/03/icon-1.png)
প্রকাশিত: ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ ,২৯ জানুয়ারি, ২০২০ | আপডেট: ১:৪৯ অপরাহ্ণ ,২৯ জানুয়ারি, ২০২০
![ছাত্র-ছাত্রীদের মনের কথা জানতে স্কুলে স্কুলে ‘ইউএনও বক্স’ স্থাপন ছাত্র-ছাত্রীদের মনের কথা জানতে স্কুলে স্কুলে ‘ইউএনও বক্স’ স্থাপন](https://janotarmail.com/wp-content/uploads/2020/01/uno-BOX.jpg)
জনতার মেইল ডেস্ক।। শিক্ষার্থীদের মনের কথা- অতিরিক্তি শিক্ষার্থী ভর্তি, বাড়তি ফি আদায়, আর্থিক অনিয়ম সহ বিভিন্ন সমস্যা জানতে ও সমাধান করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজিমুল হায়দার উপজেলার স্কুলে স্কুলে ‘ইউএনও বক্স’ বসাতে শুরু করেছে।
এই বক্সে শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ ও পরামর্শ দিতে পারবেন। আর এটি খুলে সব অভিযোগ কিংবা পরামর্শ সরাসরি দেখবেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজেই। উপজেলার দুটি স্কুলে এটি পরীক্ষামূলকভাবে দেয়া হয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীরা মনে করছেন এই বক্সে অভিযোগ দিলে দ্রুত কাজ হবে। পরিবার ও শিক্ষকদের বলতে না পারা বিভিন্ন সমস্যা তারা অনায়াসে এই বক্সে লিখে দিতে পারবে।
এ ব্যাপারে বুধবার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজিমুল হায়দার জানান, ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যার মূলে ছিল ইভটিজিং। ভালো রেজাল্টের আশ্বাস দেখিয়ে যৌন হয়রানি ও প্রশ্নফাঁসের মতো অপরাধ।
তা ছাড়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে ক্লাস প্রমোশন, সেকশন পরিচালনা, অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি, বাড়তি ফি আদায়, আর্থিক অনিয়ম, বুলিং, র্যা গিং– এসব সমস্যা সংক্রান্ত তথ্য সঠিক সময়ে প্রশাসনের কাছে পৌঁছায় না।
এসব বিষয় মাথায় রেখে তিনি আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাঠ ও স্বচ্ছ কাচের তৈরি একটি করে ‘ইউএনও বক্স’ স্থাপন করে তালাবদ্ধ করে রাখার চিন্তা করেন। এর চাবি ইউএনও অথবা তার কোনো প্রতিনিধির কাছে থাকবে। এই বক্সটি সপ্তাহের একটি দিন খোলা হবে।
এই বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার বলেন- সরাসরি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিকে মনিটরিং করার কারণে এই বক্সটির ওপর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আস্থা তৈরি হবে। নিয়মবহির্ভূতভাবে ক্লাস প্রমোশন, সেকশন পরিচালনা, অতিরিক্তি শিক্ষার্থী ভর্তি, বাড়তি ফি আদায়, আর্থিক অনিয়ম, বুলিং, র্যা গিং– এসব সমস্যা কমে আসবে। প্রাথমিকভাবে এই বক্সটি দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বসানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এটি উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেয়া হবে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যেকোনোর পরামর্শও দেয়া যাবে এই বক্সে।
বক্সে কোনো অভিযোগ থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে সংগ্রহ করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে উপজেলার রওশন আরা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি হাজী আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ে দুটি বক্স বসানো হয়েছে।
রওশন আরা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল আজাদ জানান- আমার মনে হয় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ‘ইউএনও বক্স’ বসানো খুবই প্রয়োজন। কেননা এই বক্সটি সরাসরি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদারকি করবেন।