২য় পিতার মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকুরী! রাজবাড়ীতে স্বামী-স্ত্রী দন্দে গোপন ফাঁস
প্রকাশিত: ৩:১২ অপরাহ্ণ ,২ জানুয়ারি, ২০২০ | আপডেট: ৯:২০ অপরাহ্ণ ,২ জানুয়ারি, ২০২০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি।। জন্মদাতা নয়, ২য় পিতার মুক্তিযোদ্ধার সাটিফিকেট ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় রেলওয়ে পুলিশের চাকুরী নেওয়ার গোপন তথ্য ফাঁস। স্বামী-স্ত্রীর দন্দে স্ত্রী কতৃক যৌতুক আইনে দায়েরকৃত মামলায় এ ঘটনা ফাঁস হয়।
ইব্রাহিম খলিল মিয়ার বাড়ি- রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের কুরশি গ্রামে। তার জন্মদাতা পিতার নাম আব্দুল মানিক মিয়া এবং দ্বিতীয় পিতার মুক্তিযোদ্ধা আঃ রহমান মিয়া।
মামলাসূত্রে জানা যায়, রেলওয়ে পুলিশ ইব্রাহিম খলিল মিয়া পার্শ্ববর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের বাওয়ানারা গ্রামের আকরাম হোসেনের কন্যা সানজিদা আক্তার মিশু (১৯) এর সঙ্গে সম্পর্ক করে ২০১৭ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এই বিবাহর পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যৌতুক নিয়ে দন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনায় রেল পুলিশ ইব্রাহিম খলিল মিয়া নিজ কর্মস্থলের বাসা-বাড়িতে স্ত্রীকে মাঝে মধ্যেই বেধরক মারধর করত।
রেলওয়ে পুলিশ ইব্রাহিম খলিল মিয়ার স্ত্রী সানজিদা আক্তার মিশু অভিযোগ করে যে, তার স্বামীর জন্মদাতা পিতা আব্দুল মানিক মিয়া আর মাতা শেফালি বেগম (খাদিজা)। ইব্রাহিম খলিল মিয়ার পিতার মৃত্যুর পর তার মাতা মাতা শেফালি বেগম (খাদিজা) ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের কুরশি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আঃ রহমান মিয়ার সঙ্গে।
রেলওয়ে পুলিশের চাকুরী হওয়ার সময় ২য় পিতার মুক্তিযোদ্ধার সাটিফিকেট ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরী নেয় ইব্রাহিম খলিল মিয়া। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ভুল বুঝা-বুঝির এক পর্যায়ে এই গোপন তথ্য ফাঁস করে দিলে স্ত্রীকে বেধরক মারপিট করে হাসপাতালে পাঠায়।
এ ব্যাপারে, সানজিদা আক্তার মিশু বাদী হয়ে ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ২০১৮ সালে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি আর – ৩৫৮/২০১৯। গত ২১/১০/২০১৯ ইং তারিখে রেল পুলিশ ইব্রাহিম খলিল মিয়ার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করে। বর্তমানে রেল রেলওয়ে পুলিশ ইব্রাহিম খলিল মিয়া পলাতক রয়েছে।