গোয়ালন্দঘাট থানার ওসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে চাঁদাবাজির মামলা
প্রকাশিত: ৩:২৫ অপরাহ্ণ ,৯ আগস্ট, ২০২৩ | আপডেট: ১:৫০ পূর্বাহ্ণ ,১৪ আগস্ট, ২০২৩
স্টাফ রিপোর্টার।। চাঁদাবাজি ও খুন-জখমের হুমকির অভিযোগে রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করেছেন অভয়নগরের গুয়াখোলার মেসার্স সায়াদ এন্টারপ্রাইজের মালিক ইমরান হুসাইন।
(সোমবার) ০৭/০৮/২০২৩ইং তারিখে দায়েরকৃত মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর আদালতের ইন্সপেক্টর রোকসানা।
এ মামলায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল ঘটনাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দিতে আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গোয়ালন্দঘাট থানার এসআই মনিরুল ইসলাম, সোর্স সোহেল ওরফে ভাঙ্গা সোহেল এবং ইয়াসিন শেখ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ব্যবসায়ী ইমরান হুসাইন নদী পথে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সায়াদ এন্টারপ্রাইজের মালামাল দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠান। ২০২২ সালে ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে মেসার্স সায়দ এন্টারপ্রাইজের একটি শাখা অফিস নেন রাজবাড়ির গোয়ালন্দ-দৌলদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। কিছুদিন পরে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি ও এসআইয়ের কথা বলে আসামি সোহেল ও ইয়াসিন ইমরান হুসাইনের ওই অফিসে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না এবং বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন তারা। সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য আসামিদের ভয়ে ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন ২০২২ সালের ১০ মার্চ নওয়াপাড়া বাজার থেকে ৩৯ হাজার টাকা দিয়ে দুইটি মোবাইল ফোন কিনে শরিফুলের মাধ্যমে ওসি ও এসআইকে পৌঁছে দেন। ২৭ এপ্রিল ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ১৫টি পানজাবি, ২৮ এপ্রিল নওয়াপাড়া বাজার থেকে ৩৮ হাজার টাকা দিয়ে ৪ কার্টুন খেজুর কিনে দেওয়া হয় আসামিদের। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে ওসি ও এসআই অপর দুই আসামির মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে পাঠান।
চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ওসি ও এসআই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ফোন দিয়ে হুমকি দেয়। ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে পরে ইমরান হুসাইন দুই দফায় ওসি ও এসআইকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন। এরপর থেকে চাঁদার বাকি টাকার জন্য আসামিরা নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আসামিদের অব্যাহত হুমকির মুখে ব্যবসায়ী ইমরান হুসাইন গোয়ালন্দ ঘাটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ করেন এবং বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদার বাকি টাকা না দিলে মামলা দিয়ে হয়রানিসহ খুন-জখম করবে বলেও হুমকি দিতে শুরু করেন। পরে নিরুপায় হয়ে ব্যবসায়ী ইমরান হুসাইন আদালতে মামলা করেন।
ভয় দেখিয়ে টাকা ও মোবাইল হাতিয়ে নেওয়ায় গোয়ালন্দঘাট থানার ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ