আজ : রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ী পুলিশের অভিযানে ৭কেজি ৩শ’ গ্রাম স্বর্ণসহ ৩ চোরা কারবারি আটক


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ণ ,১৪ মার্চ, ২০২৩ | আপডেট: ১১:২৯ অপরাহ্ণ ,১৬ মার্চ, ২০২৩
রাজবাড়ী পুলিশের অভিযানে ৭কেজি ৩শ’ গ্রাম স্বর্ণসহ ৩ চোরা কারবারি আটক

রাজবাড়ী প্রতিনিধি।। রাজবাড়ীর পাংশায় অভিযান চালিয়ে ১০টি সোনার বার উদ্ধারসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। জব্দকৃত স্বর্ণের বারের ওজন ৭কেজি ৩শ’ গ্রাম। যার বাজার মূল্য অনুমান ৭ কোটি টাকা।

১৪ মার্চ-২৩ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫.টার দিকে পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের পাংশা-চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল হালিম নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের হাজরাপাড়া গ্রামের মোঃ শুকুর শেখের ছেলে মোঃ সাত্তার শেখ (৩৩), পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বড় বনগ্রামের আব্দুল খালেক বিশ্বাসের ছেলে মোঃ নাহিদুল ইসলাম(২০) ও কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের আয়েন উদ্দীন ইসলামের ছেলে ইউপি সদস্য মোঃ জহুরুল ইসলাম(৩৫)।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার (এসপি) এমএম শাকিলুজ্জামান জানান- ১৪/০৩/২০২৩ তারিখ রাতে রাজবাড়ী জেলার পাংশা মডেল থানার এসআই তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক টিম নিয়মিত মামলার ২ জন আসামি গ্রেফতার করে থানায় ফিরছিল। ফেরার পথে ভোর সাড়ে ৫.টার দিকে পুলিশের টিম দেখে একটি মোটরসাইকেল যোগে ২ ব্যাক্তি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। পুলিশের সন্দেহ হলে তাদের গতিরোধ করে। পরে তারা মোটরসাইকেল রেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে পুলিশের টিম তাদের আটক করে। ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ি থেকে তাহমিনা, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা ও ইসলাম শেখসহ উপস্থিতিদের সামনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে সাত্তার জানায়, সে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে ৩টি সোনার বার ফেলে দিয়েছিল। আসামি সাত্তারের দেখানো স্থান থেকে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ওই ৩টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। পরে পাংশা থানার ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আসামি নাহিদের জুতার ভেতর থেকে স্কচটেপে মোড়ানো ৭টিসহ মোট ১০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা সোনার ওজন আনুমানিক সাত কেজি তিনশত গ্রাম।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, এই সোনার চালানটি ঢাকা থেকে এই রুট ব্যবহার করে ভারতে পাচার হচ্ছিল। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে  পাংশা মডেল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। জব্দ সোনার বারসহ আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে।

এ সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সালাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইফতেখায়রুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান ও জেলার সাংবাদিকবৃন্দ সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

Comments

comments