আজ : শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীর রামকান্তপুর গাছ থেকে ঘরজামাই’র ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ ,৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ | আপডেট: ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ ,৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
রাজবাড়ীর রামকান্তপুর গাছ থেকে ঘরজামাই’র ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি।। রাজবাড়ীর রামকান্তপুর আম গাছের ডালের সাথে কাপড়েরর পাইড় দ্বারা গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মনির হোসেন(৪০) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে রাজবাড়ী পুলিশ। সে ভ্যান যোগে গ্রামগঞ্জে ঘুরে ঘুরে কোয়েল পাখি ও ডিম বিক্রি করতো। গ্রামবাসী ও পরিবারের লোকজন বলেছেন- এটা আত্মহত্যা হতেই পারেনা।

আজ রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর-২২) সকাল পৌনে ৮ টার দিকে রাজবাড়ী জেলা সদরের  রামকান্তপুর ইউনিয়নের মুরারীপুর গ্রামের স্থানীয় কানুর বাগানের আম গাছ থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।

তার বাড়ি চাদপুর জেলার মতলব উপজেলার চাবাইত্তা গ্রামে। পিতার নাম মহর আলী।

পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান- গাছের ডাল থেকে প্রায় ৫/৬ ফুট নিচে মাথা-দেহ ঝুলছিল, আর মাটি থেকে প্রায় ১ ফুট উপরে পা ঝুলছিল। মৃত ব্যক্তির নিজ বাড়ী হইতে বাগান দূরত্ব প্রায় আধা কিলোমিটার।

মৃত মনিরের শ্বশুর বাড়ির পরিবারের সদস্যরা বলেন- মনির হোসেনের বাড়ি  চাদপুর জেলার মতলব উপজেলার চাবাইত্তা গ্রামে। তার পিতার নাম মহর আলী। সে প্রায় ২০ বছর পূর্বে রাজবাড়ীর রামকান্তপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডস্থ মুরারী পুর গ্রামের নুরু ভূইয়ার মেয়ে রওশনারা কে বিয়ে করে এবং শ্বশুর বাড়ী থেকে স্ত্রীর নামে পাওয়া ৮ শতাংশ জমিতে বসত বাড়ি করে স্ত্রীর সাথে বসবাস করে আসছিল। তাদের ঘরে ১১ বছর বয়সের মনিরা নামের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। সে ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী।

মনিরেরর স্ত্রী রওশনারা বলেন- মোফাজ্জল ও মহসিনের ফার্ম থেকে কোয়েল পাখি কিনে ভ্যানে করে গ্রামে ঘুরে ঘুরে বিক্রয় করে আয় উপার্জন করতো। প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল সন্ধ্যার আধা ঘন্টা আগে মনির বাড়ি থেকে বেড় হয়ে আব্বাসের চায়ের চায়ের দোকানের উদ্দেশ্য যায়। সে রাতে বাড়ি না ফেরায় রাত ২ টার দিকে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর সকালে লোকজনের নিকট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি কানুর বাগানের আম গাছের ডালের সাথে কাপড়েরর পাইড় দ্বারা গলায় ফাঁস দেওয়া মনিরের মৃতদেহ ঝুলছে। তিনি আরো বলেন, গতকাল বাড়ি থেকে বেড় হওয়ার সময় গায়ে গেঞ্জি পড়ে একটা গামছা, টর্চ লাইট ও মোবাইল সাথে নিয়ে বেড় হয়। কিন্তু তার ঝুলন্ত লাশের সাথে আশ-পাশে তার মোবাইল, গামছা, লাইট ও স্যান্ডেল পাওয়া যায় নাই। সে ভাল লোক ছিল, কার সাথে কোন দন্দ বা মনমালিন্য ছিলনা, সে কোন ভাবেই সে আত্নহত্যা করতে পারেনা। কেউ হয়তো হত্যা করে তাকে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। এলাকাবাসীর ধারনা- টাকা-পয়সা কেড়ে নেওয়ার জন্য এলাকার মাদকসেবীদের দ্বারা এ কাজ হতে পারে।

এ বিষয়ে, রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন- লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । এ বিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা পক্রিয়াধীন ।

Comments

comments